১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবে গুগল
প্রথমবারের মত বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মুনাফা করল টেক জায়ান্ট গুগল। গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট গতকাল বৃহস্পতিবার এক বার্তায় তথ্যটি জানিয়েছে। খবর সিএনএন।
২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ৩২.৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি হওয়ার গুগলের সামগ্রিক বার্ষিক আয় দাঁড়ায় ১১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার।
যদিও প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের মুখও কম দেখেনি। গত মাসে স্বাক্ষরিত ট্যাক্স বিলের কারণে গুগলকে অতিরিক্ত ৯.৯ বিলিয়ন ডলার গুনতে হয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে গুগলের করা আয়ের উপর এককালীন এ ট্যাক্স বসানো হয়। মাইক্রোসফটসহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই পরিমাণ ট্যাক্সের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে চা প্রদর্শনী
--------------------------------------------------------
এই আয়ের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যেই অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য পড়ে যায় পাঁচ শতাংশ।
কোম্পানিটি এই রিপোর্টে আরও জানায়, অ্যালফাবেটের নতুন সভাপতি হতে যাচ্ছেন কোম্পানিটির বোর্ড অব ডিরেক্টরের দীর্ঘকালীন সদস্য জন হেনেসি। তিনি সাবেক গুগল ও অ্যালফাবেট সিইও এরিক স্মিডট এর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপল ২০১১ সালে প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলারের লভ্যাংশের মুখ দেখেছিল, ২০১৫ সালে অ্যামাজনের বার্ষিক আয় ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলারের কোঠায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই আয়ের প্রধান শক্তি হচ্ছে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা। যদিও কোম্পানিটি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ানদের ক্রয়কৃত ভূয়া নির্বাচনী বিজ্ঞাপন এবং ইউটিউবে আপত্তিকর ভিডিওর জন্য বেশ বিতর্কিত অবস্থায় পড়েছিল।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের মতে, গেলো বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০% ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার দখল করে নিয়েছিল গুগল এবং ফেসবুক। এই সংখ্যাটি ক্রমেই বাড়ছে।
যদিও অ্যালফাবেটের আয়ের অধিকাংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে, তারপরও এই বছর নতুন খাত থেকে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে সংস্থাটি।
গেলো বছর বিজ্ঞাপন বাদে অন্যান্য খাত থেকে গুগলের আয় হয় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ খাতগুলোর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে গুগলের ক্লাউড সার্ভিস, হার্ডওয়্যার পণ্য, পিক্সেল ফোন এবং গুগল হোম স্মার্ট স্পিকার।
অ্যালফাবেট এ পর্যন্ত আমাজনের ক্লাউড সার্ভিস ব্যবসা এবং অ্যাপলের হার্ডওয়ার পণ্য বিক্রয়কে টপকাতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/এমকে
মন্তব্য করুন