জনতা ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারই এখন চ্যালেঞ্জ
এননটেক্স নামের এক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। নিয়ম ভেঙে এক গ্রাহককেই মাত্র ৫ বছরে এ ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। যা নিয়ে এখন তোলপাড় ব্যাংকপাড়ায়।
ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুছ ছালাম আজাদ বলছেন, ওই অর্থ উদ্ধারই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলছেন, আমাদের গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এখন ১০০ ভাগ কাজের ২০ ভাগই থাকবে ওই অর্থ উদ্ধারকে ঘিরে। সেভাবেই ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চকে বলে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের ব্যাংকিং খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ।
নতুন এমডি আরও বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পর্ষদ সভায় বসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকেও অবহিত করা হয়েছে। বিপুল অংকের এই টাকা উদ্ধারে একটি কোর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে যদি পর্যবেক্ষণ করা যায়, তবে একটি গতি আসবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সরকারি কেনাকাটার ৮০ ভাগ এখন অনলাইনে
--------------------------------------------------------
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ উদ্ধারের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংকেই এখন জোরালো ভুমিকা পালন করতে হবে।
জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের মোট মূলধন ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। কিন্তু দেয়া হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ।
এননটেক্স নামের গ্রুপের ২১টি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৫ বছরে বের করে নিয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ। আর এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বেনামে অনেকে থাকলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ইউনুস (বাদল) একাই। তার গ্রুপের নামই এননটেক্স।
হলমার্ক ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর এটিকেই সাধারণ মানুষের আমানত নিয়ে ভয়ঙ্কর কারসাজির আরেকটি বড় উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এটি একক ঋণের বৃহত্তম কেলেঙ্কারি। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের সময়কালে এই বিশাল অর্থ ঋণ দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বিশাল এই কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হবার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অবশ্য এক অনুষ্ঠানে জানান, জনতা ব্যাংক একসময় সেরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু আবুল বারকাতই ব্যাংকটি শেষ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এসআর/এমকে
মন্তব্য করুন