• ঢাকা বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

অর্থমন্ত্রীর ‘রাবিশ’ এর রহস্য উদ্ধার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:৩৮

নানা ইস্যুতে নানা সময়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘রাবিশ-বোগাস’ শব্দের ব্যবহার করেছেন। যা বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছে। কদিন আগেও ব্যাংক ইস্যু নিয়ে সিপিডির বক্তব্যকে রাবিশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অবশেষে তার এই রাবিশ-বোগাসের রহস্য উদ্ধার হলো। রোববার রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন নিষ্ঠাবান ও সৎ মানুষ। তিনি সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করেন না। তিনি দৃঢ়চেতা মানুষ। কোনো কিছু অপছন্দ হলে অকপটে তা বলে দেন। এ জন্যই আপনারা রাবিশ, বোগাস শব্দের সঙ্গে পরিচিত।

অনুষ্ঠানে মোমেন বলেন, আমাকে আজ আমার বড় ভাইয়ের সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো কাজে কারও ক্ষতি করার মতলব কখনও ছিল না অর্থমন্ত্রীর। তিনি একজন সৎ মানুষ।

মোমেন বলেন, আমার বড়ভাই অর্থমন্ত্রীর ডাকনাম শিশু। এখনও তার শিশুসুলভ আচরণ আছে। বড় ভাই হিসেবে ধমক টমক দিলে আমরা এখনও শিশুপ্রকৃতি নিয়মে তা গ্রহণ করি। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তার মতো উন্নয়নের হাতিয়ার পেয়েছি।

তিনি বলেন, তার (মুহিত) সঙ্গে কোনো বিষয়ে যুক্তিতর্ক করলে তিনি অন্যের মত শুনবেন। এ ব্যাপারে একটি উদাহরণ দিয়ে ড. মোমেন বলেন, মনে করেন, ২০০১ সালে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনুরোধ করলেন যে মুহিত সাহেবকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসার জন্য। আমি বললাম এটা খুব কঠিন, আপনি বলেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: আজই অবসরে যান, অর্থমন্ত্রীকে বাবলু
--------------------------------------------------------

তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললেন, উনি রাগী লোক। আমি বলতে পারবো না, আপনিই দেখেন। আমি উনাকে (মুহিত) বললাম হুমায়ুন রশিদ সাহেব তো নেই সেই যায়গায় আমাদের নেত্রী আপনাকে চায়। উনি সাথে সাথে এটাকে রাবিশ বললেন। বললেন, নো আমি এতদিন ধরে এ কাজ করছি। আমি বললাম তোমার এখানে যাওয়া দরকার। প্রথমে রাগ করলেন। কিন্তু আমি অনেক ঠাণ্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করলাম। ভাই, বোন ও ওনার (মুহিতের) বন্ধুবান্ধব ধরলাম। সবাই এক সঙ্গে ধরার পর উনি গ্রহণ করলেন। একবার ধরার পর সেটাতেই লেগে থাকলেন। ওনার একটা গুণ যেটা নিয়ে কাজ করেন সেটা খুব নিষ্ঠার সঙ্গে করেন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীসহ তিনজনকে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক-২০১৮ দেয়া হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক এ আর খান, বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুন নাহার প্রমুখ।

আরও পড়ুন:

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে আতিফের কনসার্ট, সাইবার হামলার রহস্য উন্মোচন
রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রদূত মুহিত  
প্রকাশ্যে ‘চালচিত্র’র ফার্স্টলুক, রহস্যময় হাসিতে নজর কাড়লেন অপূর্ব
ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী পদে স্কট বেসেন্টের মনোনয়ন