কোরাম সংকট
সংসদে ৫ অধিবেশনে ‘ক্ষতি’ ৩৭ কোটি টাকা: টিআইবি
গত বছর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৩০ মিনিট কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয়েছে। এর প্রতি মিনিটে গড় অর্থমূল্য ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা। এই হিসাবে গত বছর কোরাম সংকটের সময়ের অর্থমূল্য ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ টাকা। আর দৈনিক কার্যদিবস হিসেবে কোরাম সংকটে ব্যয়িত ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দশম জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট ওয়াচ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
চলতি সংসদের ১৪তম থেকে ১৮তম অধিবেশন পর্যন্ত (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত অধিবেশন নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।
সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। কোরাম হলো সংসদ অধিবেশন বসার ন্যূনতম যোগ্যতা। সংসদে ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম গঠিত হয়। সংসদে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত না থাকলে কোরাম সংকট হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :২৯৮ কোটি টাকায় কোরিয়া থেকে আসছে ১০ রেল ইঞ্জিন
--------------------------------------------------------
সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পর অধিবেশন কক্ষে সদস্যদের দেরিতে উপস্থিত হওয়ার কারণে এই সংকট হয়। কোরাম সংকটের কারণে সদস্য ও মন্ত্রীদের বিলম্বে উপস্থিতি, প্রশ্নোত্তর, আইন প্রণয়ন, জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিসের অলোচনা পর্ব ইত্যাদি সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনায় বাধার সৃষ্টি করে। প্রায় সব কার্যদিবসে কোরাম সংকটের কারণে অধিবেশন বিলম্বে শুরু হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সার্বিকভাবে চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশনে মোট ৩৮ ঘন্টা ০৩ মিনিট কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয়; যা পাঁচটি অধিবেশনের প্রকৃত মোট ব্যয়িত সময় (২৯৮ ঘন্টা ১১ মিনিট)-এর ১৩ শতাংশ। পাঁচটি অধিবেশনে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৩০ মিনিট কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোরাম সংকট সব সময়ই ছিল। এখন সেটি গড়ে ৩০ মিনিট, যা উদ্বেগের বিষয়।
তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের ভূমিকা পালনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। বিরোধী দল হিসেবে যাদের উপস্থাপন করা হয়েছে, সংসদের শেষ দিকে এসে তাদের নিজেদের আত্মপরিচয়ের সংকট একাধিকবার তাদের নিজেদের মুখেই শোনা গেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
কোরাম সংকটের অর্থমূল্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা প্রাক্কলিত আনুমানিক অর্থমূল্য। এটাকে টিআইবি দুর্নীতি বলছে না। একটি ধারণা দেয়ার জন্য এই অর্থমূল্যের প্রাক্কলন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন