আয় ৩ লাখের বেশি হলে কর বসানোর প্রস্তাব ফিরোজ রশীদের
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়করমুক্ত সীমা রাখা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরেও একই সীমা নির্ধারণ ছিল। অর্থাৎ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণির কর দিতে হবে না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে বাজেটে এ প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলছেন, আড়াই লাখ নয়, আয়করমুক্ত সীমা কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা হতে হবে।
মঙ্গলবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে না পারলে বাজেটের সুফল জনগণ পাবে না। একইসঙ্গে তিনি কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার উপরে যারা আয় করে তাদের আয়করের আওতায় আনার প্রস্তাব দেন।
-------------------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ৩ কোটি ৮৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়েছে
-------------------------------------------------------------------------------
ব্যাংকের করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ বলেন, ব্যাংক ডাকাতদের সুবিধা দেয়া হবে-এটা মানা যায় না। করপোরেট কর আগের অবস্থায় রাখতে হবে। জনগণের করের টাকায় ব্যাংকের ভর্তুকি দেয়া যাবে না।
বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মহিলা করদাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য এ সীমা কিছুটা বেশি ছিল। করমুক্ত আয়ের সীমা কি হবে তা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নীচে থাকে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতার দাতার জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতা ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমায় রাখার কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ
এসআর
মন্তব্য করুন