সাগর পাড়ি দিয়ে বিদ্যুৎ এলো সন্দ্বীপে
দীর্ঘ ২২ মাসের চেষ্টার পর অবশেষে সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছালো ছোট্ট সন্দ্বীপে। গত বৃহস্পতিবার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরের বুকে এই দ্বীপ উপজেলায়।
প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস সন্দ্বীপে। এতদিন একপ্রকার বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে ছিল এই দ্বীপ। স্থানীয় পর্যায়ে তেলভিত্তিক জেনারেটরের মাধ্যমে উপজেলা সদরের প্রায় ৪০০ গ্রাহককে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ দেয়া যেতো।
জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এখন বারবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আয়তনে ছোট হয়ে আসা এই দ্বীপ আশার আলো দেখছে।
পিডিবির তথ্য বলছে, চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এলাকায় সাগরের নিচ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল টানা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা।
এই সাবমেরিন কেবলের সঞ্চালন ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পর এখন কয়েক ধাপে সন্দ্বীপের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হবে।
এদিকে সন্দ্বীপের মানুষ আশা করছে, জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পেয়ে শিল্প-কারখানা স্থাপনসহ তাদের নাগরিক জীবনে ঘটবে ব্যাপক উন্নয়ন।
সন্দ্বীপের পৌর মেয়র জাফর উল্ল্যা টিটু জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে সন্দ্বীপে এসে দ্বীপবাসীকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এটা তারই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এখন সন্দ্বীপেও আশার আলো জ্বললো। এটা সন্দ্বীপের মানুষের জন্য বড় পাওয়া।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেড টি টি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সমুদ্রের তলদেশে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ভূ-পৃষ্ঠ হতে ১০ থেকে ২০ ফুট গভীরতায় দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাবল নেটওয়ার্ক সমুদ্র তীরবর্তী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশে ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে যুক্ত করা হয়। উপকূল থেকে ১৬ কিলোমিটারের দুটি ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে এ সংযোগ দেয়া হচ্ছে।
সন্দ্বীপ বিদ্যুতের আওতায় আসায় এখন ব্রডব্যান্ড লাইনের মাধ্যমেও ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তার ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন