‘প্রয়োজনে বিদেশিদের দিয়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হবে’
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর ভবন ভাঙার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ভবন ভাঙতে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান না পেলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকেই ভবন ভাঙার দায়িত্ব দেয়া হবে। বললেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সচিবালয়ে বুধবার নিজের দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।তিন মাসের মধ্যে সরানো হবে ভবনের ধ্বংসস্তূপ।
তিনি বলেন,হাতিরঝিলের মাঝখানে বিষফোঁড়ার মত বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি, ফলে অনাকাঙ্খিতভাবে ভবনটি সেখানে বেড়ে উঠেছে। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকেরই রয়েছে।
জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা আসে উচ্চ আদালত থেকে। সেজন্য ভবনটি ছাড়তে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিল আদালত।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়।
সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দেয় আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামে রাজউক।
পূর্তমন্ত্রী বলেন, যারা টেন্ডারে অংশ নেবে তাদের মধ্যে ‘আধুনিক প্রযুক্তি’ ব্যবহারে অভিজ্ঞ কেউ আছে কি না সেটা আমরা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসা হবে। তবে আমরা অগ্রাধিকার দিতে চাই দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে। যদি সে রকম না পাই, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
এস
মন্তব্য করুন