• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব, অশনিসংকেত দেখছেন ব্যবসায়ীরা
গ্যাসের দাম দেড়গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব পেট্রোবাংলার
গ্যাসের দাম দেড়গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। তবে তা শুধুমাত্র শিল্পখাতের গ্রাহকদের জন্য। বর্তমানে এ খাতের গ্রাহকরা প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা পরিশোধ করে। যা দেড়গুণ বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের বেশি ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য হবে। জ্বালানি বিভাগের অনুমোদনের পর গতকাল সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে এ প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। তবে তা এখনি বাড়ছে না। কমিশন সভায় বিইআরসি বাড়তি দামের অনুমোদন দিলেই বাড়বে গ্যাসের দাম। অনুমোদনের বিষয়টি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কমিশনের সভায় উঠানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, চলতি মাসের কমিশন সভা হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে পরবর্তী কমিশন সভা বসবে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিইআরসিতে পাঠানো পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুরোনো গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের বাড়তি ব্যবহৃত গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে এবং নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশের পরে নতুন দাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম গড়ে ৮২ শতাংশ বাড়ানো হয়। তখন শিল্পে গ্যাসের মূল্য ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৩০ টাকা। ক্যাপটিভে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। পরে ক্যাপটিভে আরেক দফা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে করা হয় ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়। গত বছরের ২৮ আগস্ট গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিইআরসির নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আরটিভি/এএইচ
দাবি না মানলে জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা খামারিদের
বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলো বিক্রি হচ্ছে!
‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
শুল্ক-কর প্রত্যাহার ও বন্ড-সুবিধার দাবি আসবাব রপ্তানিকারকদের
এটলাস-রানার হেলমেট প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, একটি সুপরিচিত মোটরসাইকেল সংযোজনকারী কোম্পানি এবং রানার মোটরস পিএলসি একটি অগ্রণী মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সহযোগিতায় যৌথভাবে হেলমেট উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সাক্ষর করেছে। এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এটলাস-রানার হেলমেট প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যা দেশের মোটরবাইক রাইডারদের জন্য উচ্চমানের, সেফটি-সার্টিফাইড হেলমেট সরবরাহ করবে। গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনে (বিএসইসি) এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।  মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. খায়রুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসির চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান এবং রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খানের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিবর রহমান এবং রানার টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ রুদাবা তাজিন। উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তারা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। এই সহযোগিতা বাংলাদেশের রাইডার নিরাপত্তা উন্নয়নে এবং মোটরসাইকেল ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটলাস-রানার হেলমেট প্রকল্প আন্তর্জাতিক সেফটি মানদণ্ডে সঙ্গতিপূর্ণ হেলমেট উৎপাদনে মনোযোগ নিবন্ধ করবে, যা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। উভয় কোম্পানির অটোমোবাইল এবং মোটরসাইকেল শিল্পে অভিজ্ঞতা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য উচ্চমানের সুরক্ষা সরঞ্জামের চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সমঝোতা স্বাক্ষর বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সরকারের উদ্যোগকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এই অংশীদারিত্ব হেলমেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে, বিশেষ করে দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে। উভয় কোম্পানি যৌথ উদ্যোগের সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী এবং পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উন্নয়নশীল অটোমোবাইল শিল্পে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
নাবিল গ্রুপের এমডি ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির অন্যতম সহযোগী ও রাজশাহীভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।  সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক ব্যাংকার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ -এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম, তার বাবা জাহান বকস মণ্ডল, মা আনুয়ারা বেগম, স্ত্রী ইসরাত জাহান, ছেলে এজাজ আবরার এবং মেয়ে আফরাত ইবনাথের ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তা জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তার তথ্য (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) পাঠানোর অনুরোধ করেছে বিএফআইইউ। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘জোরজবরদস্তি’ করে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এরপর এ গ্রুপটি যেমন নামে-বেনামে একাধিক কোম্পানি খুলে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাপক ঋণ নিয়েছে, তেমনি সুবিধাভোগীদেরও সুযোগ করে দেয়। তাদের মধ্যে অন্যতম রাজশাহীভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান নাবিল গ্রুপ।  প্রতিষ্ঠানটি শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নামে-বেনামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আরটিভি/আইএম/ এসএস
আশুলিয়ার বন্ধ কারখানা খুলবে শনিবার
সাভারের আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা কারখানাগুলো শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলতে শুরু করবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় হা-মীম গ্রুপের মালিকসহ তার কারখানায় বিজিএমইএ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রমুখ। বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, শনিবার থেকে আশুলিয়ার বন্ধ কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুরের কারখানাগুলোও খুলবে। যেসব মালিক কারখানা খোলার বিষয়ে ইতিবাচক মনে করবেন, তারা খুলবেন। হা-মীম, শারমীনসহ বড় গ্রুপের কারখানা খুলবে। আবদুল্লাহ হিল রাকিব আরও বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। বিশৃঙ্খলাকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়ার জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত টানা দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে তৈরি পোশাক খাতের অস্থিরতা চলছে। সে জেরে  বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুরের ২৫৭ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ৯৪ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল মালিকপক্ষ। শুধু আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল ৮৬টি কারখানা। এদিকে বিজিএমইএ জানিয়েছে, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের ১১৫ পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সার্বিকভাবে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৭৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ কারখানা (বিজিএমইএর সদস্য) আগস্ট মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে। ৫৪৯ কারখানার মজুরি বাকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত
দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ১৬৭ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাভার, আশুলিয়াসহ অন্যান্য এলাকায় পোশাক কারখানা খোলা হবে। আজকে ১০০টির বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। কিছু জায়গা হামলা হয়েছে। যেসব কারখানা আজকে বন্ধ ছিল কালকে থেকে তা চালু হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বিজিএমইএকে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিধায় আগামীকাল থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলেও জানান খন্দকার রফিকুল ইসলাম।   পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছেন তারা বহিরাগত দাবি করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।   বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে আজকে রাত থেকে আবার যৌথ অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিরাপত্তা দাবি ব্যবসায়ীদের
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে আনেন তারা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই অনুরোধ জানায়। কয়েকদিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে শতাধিক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং বিদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়। সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গতকাল আমরা জরুরি ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধ জানাই। প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে সারা দিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে শিল্পকারখানার নিরাপত্তা চেয়েছি। যৌথ বাহিনীর অভিযানকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) ব্যবসায়ীদের সহায়তাও চেয়েছেন। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বলেন, সবাই একটা পরিবর্তন চান। কিন্তু বর্তমানে যা চলছে, সেটি কারোরই কাম্য নয়। ওষুধশিল্প থেকে শুরু করে বস্ত্র ও পোশাক কারখানায় অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।  বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, যেসব কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন, সেই দাবিগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন ব্যবসায়ীরা। তবে কারখানার ফটকে বহিরাগত শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন। বহিরাগতরা কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছেন। এভাবে চলতে থাকলে কারখানা মালিকেরা লে–অফ ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন। তখন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শিল্পকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অস্থিরতায় ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতাদের দাবির মুখে গতকালই যৌথ অভিযানে শুরু হয়।
বিজিএমইএ’র নতুন সভাপ‌তি খন্দকার রফিকুল
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতির পদ থেকে এস এম মান্নান কচি পদত‌্যাগ করায় নতুন সভাপ‌তি নির্বা‌চিত হয়েছেন ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া সংগঠন‌টির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ সহসভাপতি নির্বাচিত করেছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজিএমইএ মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর পদত‌্যাগ ক‌রা সভাপতি এস এম মান্নান কচি ঢাকা উত্তর সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার কারণে সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বিজিএমইএ বোর্ডকে।
এবার ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির রিসাইক্লিং
শিল্পোন্নত বিশ্বে ইলেকট্রিক যানের ব্যবহার বাড়ছে৷ কিন্তু এমন গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারির কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করা সহজ নয়৷ ইলেকট্রিক ভেহিকেল ব্যাটারি অত্যন্ত দাহ্য এবং বিস্ফোরক৷ ফলে জার্মানিতে ব্যাটারি রিসাইক্লিংয়ের বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে৷ রিসাইকেলের প্রথম কোম্পানি বিশাল মুনাফা করেছে৷ কারণ, ব্যাটারির মধ্যে কোবাল্ট ও নিকেলের মতো মূল্যবান ধাতু রয়েছে৷ ইএমআর কোম্পানির প্রতিনিধি মুরাত বায়রামের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানির রাজপথে দেড় কোটি ইলেকট্রিক যান নামবে বলে আমরা মনে করি৷ অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে ২০৩০ সাল আগামী পরশুর মতো৷ কয়েক মাস আগে ইউরোপে ইলেকট্রিক যানের সবচেয়ে বড় রিসাইক্লিং কারখানা খোলা হয়েছে৷ মুরাত বলেন, আমরা জার্মানির সবচেয়ে দামী ফ্যাক্টরি ফ্লোরের একটির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছি৷ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেই অর্থ সাশ্রয় হয় না৷ এই ফ্লোর সম্পূর্ণ পানি-নিরোধক, কয়েক মিটার পুরু এবং সেখানে এমন সেন্সর রয়েছে, যে কোনো পদার্থ মাটিতে প্রবেশ করলেই যা অবিলম্বে আমাদের জানিয়ে দেবে৷ এই সব ব্যাটারিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় গাড়ির কারখানা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল৷ কিন্তু খুব কম ব্যাটারিই এখানে আসে৷ রিসাইক্লিং প্লান্টের প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার লার্স মুন্ডিন বলেন, আমরা মূলত নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা ও কার্যকর করি এবং নিজেরাই ব্যবহার করি৷ আমরা শিক্ষাকে যতটা সম্ভব গুরুত্ব দেই৷ পুরানো ব্যাটারি বেরিয়ে এলে এবং আচমকা বেশি পরিমাণে এসে পড়লে প্রস্তুত থাকতে চাই৷ কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম প্রজন্মের ইলেকট্রিক যানগুলির ব্যাটারি বাতিল হওয়ার পরই বিশাল পরিমাণে রিসাইক্লিং শুরু হবে৷ তখন বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি তথাকথিত ব্ল্যাক মাস ও সেগুলির মধ্যেকার ধাতু উদ্ধার করার উদ্যোগ নেবে৷ লার্স মুন্ডিন বলেন, সবচেয়ে দামী ধাতু হিসেবে ৯৫ শতাংশ নিকেল, সেইসঙ্গে অবশ্যই অ্যালুমিনিয়াম ও তামা উদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য৷ গোটা বিশ্ব ইলেকট্রিক যানের দিকে ঝুঁকছে এবং ব্যাটারির জন্য এই ধাতুগুলির চাহিদা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাবে৷ রিসাইক্লিং করতে পারলে প্রস্তুতকারকদের এমন খনির উপর নির্ভরতা কমবে, যেখানে কাজের পরিবেশ খুবই খারাপ৷ মুরাত বায়রাম মনে করেন, কোম্পানিগুলি এখনো কাঁচামালের ক্ষেত্রে অন্য দেশের উপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীল৷ জার্মানির রিসাইক্লিং প্লান্টে উদ্ধার হওয়া উপাদান ইউরোপের উত্তরে এক পাইলট প্লান্টে জমা হয়৷ ব্যাটারি শ্রেডিং করে এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাক মাস নামে পরিচিত অবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়৷ একেই রিসাইক্লিং শিল্পের কালো সোনা বলা হয়৷ সেই মিশ্রণ থেকে নিকেল, ম্যাংগানিজ ও কোবল্টের সবুজ এক তেল বার করা যায়, যা সেভাবেই নতুন ব্যাটারিতে কাজে লাগানো যায়৷ কিন্তু সেটির মূল্য কি ন্যায্য? লার্স মুন্ডিন বলেন, এই মুহূর্তে সঠিক মূল্য বলা কঠিন, কারণ এই ব্যবসা এখনো গড়ে তোলা হচ্ছে৷ তাছাড়া বিশ্ব বাজারে মূল্য অনেক ওঠানামা করে৷ ফলে হিসেব করা কঠিন৷ কাজ একবার শুরু হলে প্রক্রিয়ার একটা বড় অংশ স্বয়ংক্রিয় করে তোলা হবে৷ কিন্তু রিসাইক্লিং-এর হার বাড়াতে ব্যাটারিগুলি আরো উন্নত করা প্রয়োজন৷ মুরাত বায়রাম বলেন, গাড়ির ব্যাটারির প্রসঙ্গে বলতে হয়, আমরা স্পষ্ট দেখছি যে জার্মান গাড়ি কোম্পানিগুলি আরো বেশি করে রিসাইক্লিং-এর কথা ভেবে পণ্য ডিজাইন করছে৷ তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে, কারণ তারাও আমাদের মতোই কাঁচামাল পেতে আগ্রহী৷ তারাও চক্র পূর্ণ করতে চায়৷ অ্যালুমিনিয়ামের মতো উচ্চ রিসাইক্লিং হার নিশ্চিত করতে পারলে আরেকটি সুবিধাও পাওয়া যাবে৷ শেষ পর্যন্ত জলবায়ুর জন্যও এই উদ্যোগ ইতিবাচক হবে৷ এই রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের পরিচালনাকারীরা কোটি কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছেন৷ এই উদ্যোগ নিরাপদ হবে বলেই তাঁরা আশা করছেন৷