জাবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:৪৭ পিএম


জাবিতে অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক
ছবি: আরটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযয়ে (জাবি) অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত রিকশা চালক আরজুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকা থেকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা৷ পরে দিবাগত রাত ২টায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। 

গত ১৯ নভেম্বর দুর্ঘটনার সময় পথচারী নাঈম ও রিকশায় যাত্রী হিসেবে থাকা আবু হায়াত ও নাহিদ তাকে শনাক্ত করেন। 

বিজ্ঞাপন

নাহিদ ও হায়াত বলেন, আমরা ওই সময় টারজান থেকে এই রিকশায় উঠি। আমরা নিশ্চিত, রিকশা এটাই। সে রিকশায় সিট চেঞ্জ করেছে। এটার সামনের দিকে লাইট ভেঙে গিয়েছিল; সেগুলো এখনও আছে। গাড়ির নিচের দিকে নতুন রঙ করা হয়েছে। হাত দিয়ে দেখলাম, রিকশায় নতুন রঙ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, আমরা যখন বিভিন্ন সূত্র ধরে তাকে খুঁজে পাই, তখন তার বাম হাতে খুব ব্যথা ছিল। তার গলার পাশেও আঘাতের চিহ্ন৷ সে বলেছে, এটা ১৫ দিন আগের ব্যথা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কোনও ডাক্তার দেখিয়েছেন। পরে মেডিকেলের ডাক্তারকে দেখানোর পর নিশ্চিত হয়েছি, সে খুব সম্প্রতি কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সেদিনের দুর্ঘটনা থেকেই সে আঘাত পেয়েছে বলে আমাদের ধারণা।

এ দিকে, ১৯ নভেম্বরের দুর্ঘটনার পর রিকশা বিক্রির চেষ্টা করেন চালক আরজু। ক্ষতিগ্রস্ত সে রিকশার সামনের দিকে গ্লাস ছিল না, হেডলাইট ভেঙে গিয়েছিল। সেগুলো নতুন করে মেরামত করা হয়। লাল রঙের বসার সিট বদলে নীল রঙের সিট লাগানো হয়। 

বিজ্ঞাপন

রিকশার যাত্রী আবু হায়াত ও নাহিদের বক্তব্য শুনে এমনটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া রিকশায় নতুন রঙের গন্ধ ও নতুন হুড লাগানোর আলামত পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অফিসে রিকশাটি নিয়ে আসা হলে সেটি পরীক্ষা করে দেখেন পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিকশাচালক আরজু বলেন, আমি আসলে রিকশা চালাই না। ১৫ দিন আগে থেকেই আমার হাতে ব্যথা ছিল। রিকশার ব্যাটারি একটু খারাপ ছিল দেখে কম দামে বেচে দিছি। আমি ওই দিন জাহাঙ্গীরনগরে ছিলাম না। 

এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার বলেন, তাকে সন্দেহের মূল কারণ- তার মোবাইল ট্র‍্যাক করে দেখা গেছে, সে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগরে ছিল। বাকি আগে পরের সময় সে ক্যাম্পাসের বাইরে ছিল। আবার ঘটনার পর সে রিকশা বিক্রির চেষ্টা করেছে। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাচ্ছি।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission