বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নারী কেলেঙ্কারিসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ দপ্তরের সকল কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্য দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। পরে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান জানান, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, যার একটি অশ্লীল ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত এবং ২০২৩ সালের জুলাইয়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করেছিলেন। এসব কারণে তার নৈতিক ও প্রশাসনিক যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। রেজিস্ট্রার দাপ্তরিকভাবে অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তালা খুলবো না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কর্ণপাত না করায় রেজিস্ট্রারকে অবৈধ ঘোষণা করে দপ্তরে তালা দেওয়া হয়েছে। এই অবৈধ রেজিস্ট্রার স্বৈরাচারের দোসর তাকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্য অপসারণ করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও জোরালো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে অস্থিরতা তার সমাধান ভিসির কাছে। তিনি অবৈধ রেজিস্ট্রারকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে এর সমাধান করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি দ্রুততম সময়ে সমাধান করতে পারেন ভিসি নিজেই।
ভিসি অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। ভিসির পিএসকে কল করেও সাড়া মেলেনি। পরে দপ্তরে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন।
আরটিভি/এমকে/এস