পোকামাকড় ও মশা-মাছির উপদ্রব, ঝোপঝাড় বৃদ্ধি এবং হলের ব্যবহার করা পানিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে। দীর্ঘদিন ধরে হল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়াও, হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সমস্যা কর্ণপাত না করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হলের প্রথম তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে চরম আকারে। এ ছাড়াও যোগ হয়েছে মশা-মাছির উৎপাত। ফলে হলে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলা করা যেন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে হলটির শিক্ষার্থীদের জন্য।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলের পানির ব্যবহারের ফলে চর্মরোগসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন ছাত্রীরা। হলের আশেপাশে ও সামনে ঝোপঝাড় এবং ময়লা পরিষ্কার না-করায় বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী সুবাহ আনান বলেন, পানি, পোকা, মশা, ময়লা নিয়ে এতো অভিযোগের পরও কর্তৃপক্ষ থেকে একটা উত্তর পাওয়া যায় না। নিচে স্টাফ কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলে প্রভোস্ট বডির কেউ কিছু না বললে আমরা কি করবো? সব দাবি নিয়ে মেয়েরা গলা ফাটিয়ে মরছে আর এই আওয়াজ নাকি কারো কানেই যায় না।
ময়ূরী নূর নামে এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে প্রচন্ড পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। শরীরে স্পর্শ লাগলে শরীরে লাল দাগ পড়ে যায়। মশার উপদ্রবে রুমে ওয়াশরুমে কোথাও শান্তি নাই। গোসলের পানির কারণে রেশ আর এলার্জিক রিএকশন দেখা যাচ্ছে। এগুলো নিয়ে মেয়েরা এত বেশি কথা বলতেছে কিন্তু হল প্রশাসনের কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। কেউ কোনো রেসপন্স করে না।
হলটির আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী হাসনাহেনা বলেন, নিচতলার রুমে দরজা, জানালা বন্ধ করেও মশার যন্ত্রণায় থাকা যাচ্ছে না। বাথরুম, কিচেন রুম গুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। এ ব্যাপারে তিনি দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে নবাব ফয়জুন্নেসা হলের প্রভোস্ট ড. আবিদুর রহমানকে কল দিয়ে সমস্যা গুলোর ব্যাপারে জানালে, তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও হল প্রভোস্টের কোনও সাড়া মিলেনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজোয়ানুল হক আরটিভিকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও হলের বিদ্যমান সমস্যাগুলো জানতে পারলাম। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হল প্রভোস্টকে জানিয়ে দিচ্ছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল আরটিভিকে বলেন, সমস্যাগুলোর সমাধানে যাতে বিলম্ব না করা হয় সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলবো।
আরটিভি/এমএ