সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি মনে করি না। বললেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) আয়োজিত ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে একদিনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এত বড় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা প্রদান করা দুরূহ ব্যাপার। নির্বাচনী বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পেছনে। তাই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা উচিত।
তিনি বলেন, যারা বিরোধী দলে থাকে, তারা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিরাট ভূমিকার মধ্যে চলে যায়। আমি জানি না সেনাবাহিনী নিয়ে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের কী সমস্যা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গাজীপুরে চার মেয়র প্রার্থীকে সতর্ক করল ইসি
--------------------------------------------------------
সাবেক নির্বাচন কমিশনার জানান, ২০০৩ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তখনকার ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনের একমাস আগে থেকে সরকারকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনী দেয়নি। ওই নির্বাচনে সহিংসতায় ১১৭ জন নিহত হন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভোট ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স আগের রাতে কেন্দ্রে না পাঠিয়ে ভোটের দিন সকালে পাঠাতে হবে। ভোটের সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে। এটা বন্ধ করতে হলে দিনের বেলায় ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্স বিতরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অফিসারকে রিটার্নিং অফিসার বানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে সব ক্ষমতা থাকতে হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভুঁইয়া, নগর পরিকল্পনাবিদ তোফায়েল আহমেদ এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এসময় সুজনের পক্ষ থেকে ১২টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন :
কে/ এমকে