গালের দাগ ঢাকেন না, চুম্বনে আপত্তি সাই পল্লবীর
সাই পল্লবী। ভারতের দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। ‘ফিদা’, ‘প্রেমাম’, ‘কালি’ ছবির নায়িকা সাই পল্লবী সিনেমায় সাদামাটা লুক রাখেন।
শুধু তাই না ২০১৯ সালে ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। মালায়লাম ছবির নায়িকা অভিনয়ের জন্য সব সময় দুটি শর্ত মেনে চলেন।
সাই পল্লবী বলেন, ‘আমার দুটি শর্ত আছে, যা কোনো ছবিতেই ভাঙতে চাই না। আমি ছোট ও আঁটসাঁট পোশাক পরতে চাই না। অন্য শর্ত হলো, পর্দায় চুম্বন দৃশ্য করব না।’
একবার তাকে পর্দায় চুম্বন দৃশ্য করতে অনুরোধ জানানো হয়। তবে তা করতে রাজি হননি সাই পল্লবী।
এই অভিনেত্রীর ভক্তদের জন্য সুখবর হলো ‘পাবা কাদাইগাল’ নামে একটি অ্যান্থলজি ছবিতে দেখা যাবে সাই পল্লবীকে। ১৮ ডিসেম্বর এটি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে।
এম
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়িকা মাহিকে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিদেশে পাড়ি দিতে বিমানবন্দরে গিয়ে আটক হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। সেই ধারাবহিকতায় এবার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিমানবন্দরে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এই নায়িকাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে বিশেষভাবে চেক করা হয় নথিপত্র। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন মাহি।
ওই ভিডিওতে মাহি বলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।
মূলত একদিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলেন মাহি। এরপর সেখানের কাজ সেরে আবারও ঢাকায় ফিরেছেন এই নায়িকা।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরেও রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন মাহি। আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের সমর্থন না পাওয়ায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই চিত্রনায়িকা। শেষমেশ নির্বাচনে বড় ব্যবধানেই হেরেছেন তিনি।
একজন ধনীর সঙ্গে ডেট করেছিলাম, তবে সুখী হতে পারিনি: চমক
বিয়ের পর থেকে অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক ও তার স্বামী আজমান নাসিরকে নিয়ে চর্চার যেন শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। মাস তিনেক আগে হঠাৎ বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নাসিরের এটি তৃতীয় বিয়ে বলে সমালোচনায় মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। অন্যদিকে চমকেরও নাকি এটা দ্বিতীয় বিয়ে, এবার সেই গুঞ্জনেও পাল তুলেছেন তারা।
সবার এমন চর্চা আর নেগেটিভ মন্তব্যে ভীষণ বিরক্ত চমক। তাই বাধ্য হয়ে এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। জানালেন, এটা তার প্রথম বিয়ে। তবে এর আগে সিরিয়াস প্রেম ছিল অভিনেত্রীর।
গত ২৭ আগস্ট দেশের একটি গণমাধ্যমে চমক বলেন, সবাই এতকিছু লিখছিল, এটা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না। এটা তো আমার একান্ত ব্যক্তিগত। আমরা একসঙ্গে আছি। আমার কিন্তু আগে কোনো বিয়ে হয়নি, তারপরও এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল শুধু শুধু। এটা ঠিক, আমার একটা সিরিয়াস প্রেম ছিল। এরপর আরও দু-তিনটা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি।
অভিনেত্রী বলেন, ‘কেউ হাজার কোটি টাকার মালিক, কিন্তু মানুষ ঠিক না হলে ক্যামনে কি! এর আগে আমি একজন অসম্ভব ধনীর সঙ্গে ডেট করেছিলাম। কিন্তু তখন সুখী হতে পারিনি। ওর সঙ্গে আমার মনে হয়েছে, আমি হ্যাপি, পরিপূর্ণ।
বিয়ের পর চমকের স্বামীকে ধনকুবেরও ভেবেছিলেন অনেকেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে চমক বলেন, বিয়ের পর সবাই বলছিল যে, আমার স্বামী ধনকুবের। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমার স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করি আমি। আর তাছাড়া আমার স্বামীর এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও কার কী এসে যায়, আমার তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমার আসলে হেরে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ভালো লাগে।
তিনি আরও বলেন, এই মানুষটা বারবার হেরে যাচ্ছিল, কিছুই পায়নি জীবনে, তার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন যদি আমি হই, তার জীবনে সবচেয়ে বড় সুখটা যদি আমি দিতে পারি, কেন নয়। আমি তাকে অত কিছু জিজ্ঞেস করতে যাইওনি। সে আমার প্রতি সৎ, প্রচণ্ড ভালোবাসে, কেয়ার করে— এটাই আমার কাছে অনেক।
তাই আবারও বলছি, আমাকে পাওয়া যদি কারও জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হয়, তখন সেই মানুষটার সঙ্গে থেকে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। আর আমি হেরে যাওয়া মানুষের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। কারণ, যে জীবনে অনেক জিতেছে, তার জীবনে তো আমাকে দরকার নাই। গুরুত্বও কম পাব। সে মানুষের সঙ্গে থাকাটা আমার ইচ্ছাও না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে শোবিজে পথচলা শুরু চমকের। মাঝে পড়াশোনার জন্য বিরতি শেষে ২০২০ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন তিনি।
চমকের উল্লেখযোগ্য নাটক ও সিরিজগুলো হলো— ‘হায়দার’, ‘হাউজ নং ৯৬’, ‘মহানগর’, ‘সাদা প্রাইভেট’, ‘অসমাপ্ত’ ও ‘ভাইরাল হাজব্যান্ড’।
আরশ খানের সঙ্গে প্রেম-বিয়ের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বৃষ্টি
বর্তমান সময়ের ব্যস্ততম অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি ও অভিনেতা আরশ খানের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন চলছে।বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বৃষ্টি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, অনেকে অনেক কিছুই লিখে থাকে। তবে আমাদের মধ্যে প্রেম বা সম্পর্ক কিছু নেই।
আরশের সঙ্গে শুধুই বন্ধুত্ব রয়েছে জানিয়ে বৃষ্টি বলেন, একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।
প্রসঙ্গত, ‘ঘাসফুল’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু বৃষ্টির। পরবর্তীতে ছোটপর্দায় নাটকে নিয়মিত হন তিনি। ‘লতিফ দপ্তরি’, ‘আইসিইউ’, ‘কাছের মানুষ’ ও ‘জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক’র মতো নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন এই অভিনেত্রী। শিগগিরই ‘চেয়েছিলাম’ নামের একটি নাটকে দেখা যাবে বৃষ্টিকে। এতে ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি।
বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে প্রেম, ভিডিও ফাঁসসহ নানান বিতর্কে অভিনেত্রী
দক্ষিণের জনপ্রিয় ও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হানসিকা মোতওয়ানি। খুব ছোটবেলাতেই শোবিজে পা রাখেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় দক্ষতা আর মিষ্টি হাসিতে দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রের জন্য যতটা প্রশংসিত তিনি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ততটাই সমালোচিত।
কখনও হরমোন ইনজেকশন নিয়ে, কখনও ভিডিও ফাঁসের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, এমনকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ে না তার।
২০০৭ সালে তেলেগু সিনেমা ‘দেশমুদুরু’-তে অভিনয়ের সময় হরমোনের ইনজেকশন নেওয়ার কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। শোনা যায়, দ্রুত যৌবন পাওয়ার আশায় ডার্মাটোলজিস্ট মায়ের কাছ থেকে হরমোন ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন হানসিকা।
২০০৬ সালে গোয়ায় হানসিকার বান্ধবী রিঙ্কি বাজাজের সঙ্গে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন সোহেল কাঠুরিয়া। তাদের বিয়েতেও হাজির ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু একটা সময়ে সেই বান্ধবীর সংসার ভেঙে তার স্বামীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিয়েও করেন সোহেল-হানসিকা।
শুধু তাই নয়, এমএমএস ফাঁস বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে একটি গোসলের ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। ভিডিওতে হানসিকাকে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও পরে হংসিকা নিজেই স্পষ্ট করেন, যে ভিডিওটি তার নয়। তার মতো দেখতে অন্য একজন মেয়ের।
২০২২ সালে তার সিনেমা ‘মহা’নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। সিনেমার পোস্টারে সাধ্বীর পোশাকে নেশা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এখানেই শেষ নয়, ‘আপকা শুরুর’সিনেমায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার চেয়ে ১৮ বছরের বড় অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে রোম্যান্সে লিপ্ত হয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হানসিকা।
প্রসঙ্গত, হিন্দি সিনেমায় খুব কমই কাজ করেছেন হানসিকা। তবে দক্ষিণী সিনেমার পরিচিত মুখ তিনি। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষায় ৬০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন হানসিকা।
অভিনেত্রীর অভিযোগ / নায়িকাদের পোশাক বদলানোর ভিডিও ধারণ হতো গোপন ক্যামেরায়!
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তামিল ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাধিকা শরৎকুমার। কেরালায় একটি সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সেই ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন রাধিকা। যেখানে তিনি জানান, মেকআপ ভ্যানের ভেতরে গোপন ক্যামেরা রাখা হতো। অভিনেত্রীরা নিজেদের পোশাক পরিবর্তন করলে সেটা সেই ক্যামেরায় রেকর্ড হতো।
রাধিকা বলেন, কেরালায় সিনেমার শুটিং করছিলাম। হঠাৎ দেখি শুটিং ফ্লোরের কিছু মানুষ কী একটা দেখে, ক্রমাগত হাসছে। একজন স্পটবয়কে ডেকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম বিষয়টা। সে আমাকে জানালেন, মেকআপ ভ্যানের ভেতর গোপন ক্যামেরা রয়েছে। নায়িকারা পোশাক বদলালেই ছবি, ভিডিও রেকর্ড হতো। আর এসবের একটা ডেটাবেসও রয়েছে। যেখানে নায়িকাদের নাম লিখলেই প্রকাশ্যে আসত সেই ভিডিওগুলো।
সেই গণমাধ্যমকে রাধিকা আরও বলেন, আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, আমাকে অবশ্যই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। যে কারণে তাদেরকে জানিয়ে দেই, আমার মেকআপ ভ্যানের প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে উত্তাল মালয়ালম চলচ্চিত্র জগত। অভিনেত্রীদের একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র জানান, মালয়ালাম পরিচালক রঞ্জিত অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছেন।
অভিনেত্রী জানান, সিনেমায় কাজের ব্যাপারে কথা বলতে তিনি রঞ্জিতের বাড়িতে যান। সেখানে ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তার হাতের চুড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এরপর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর মেনে নেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সম্প্রতি সেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে শ্রীলেখা সরব হতেই, একাধিক অভিনেত্রী মুখ খুলেছেন তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে।
আরিফিন শুভর সেই ১০ কাঠার প্লট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক আরিফিন শুভ। ২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। কেননা তিনি সেই চলচ্চিত্রটিতে এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করেছিলেন। তবে বিনিময়ে পেয়েছিলেন রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সংরক্ষিত কোটায় প্লট পান শুভ। সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারা অনুযায়ী, রাজউক এলাকায় নিজস্ব প্লট বা ফ্ল্যাট নেই এমন সংসদ সদস্য, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং যারা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন, তারা এ ধারায় প্লট পাবেন।
এ ধারা অনুযায়ী, বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুভকে এ প্লট চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয় রাজউক।
এ প্রসঙ্গে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংরক্ষিত কোটায় আরিফিন শুভকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।
শুভর প্লটের আইডি নম্বর-০১-৪০৩-০০৮ এবং কোড নম্বর-১৯০৮৯৯। রাজউকের বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারায় ১০ কাঠার এ প্লট বরাদ্দ পান অভিনেতা।
বছরের শুরুতে রাজউক সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালের ১৮তম বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর। এ বোর্ড সভাতেই অভিনেতা আরিফিন শুভর নামে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিনেতা আরিফিন শুভর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দিয়ে বরাদ্দের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
সে সময় রাজউক সূত্র আরও নিশ্চিত করেছিল, গত ৩১ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফিন শুভর নামে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বর্তমান ঠিকানায় চিঠি পাঠান।
তবে শুভ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন তখন। বলেছিলেন, মধ্যে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম। কিন্তু সেটা রাজউকের প্লট বরাদ্দ বা এমন কিছু নয়। যদি প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকি, তখন আমি নিজেই সবাইকে জানাব। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
ফেরদৌস, আরাফাত ও রিয়াজের চাঞ্চল্যকর কথোপকথন ফাঁস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।
এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ওই গ্রুপের বেশ কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে আন্দোলনকে ঘিরে কারা মানবতার বিপক্ষ শক্তি ছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কথোপকথনের সত্যতা জানতে ফেরদৌস এবং রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।