আমার কাছে সিনেমা মানেই যুদ্ধ : রাশিদ পলাশ
সময়ের আলোচিত নির্মাতার নাম রাশিদ পলাশ। যিনি প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছে গেছেন। করোনার এই সময়টাতে যখন বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলো দর্শকবিমুখ, ঠিক তখনই তার নির্মিত সিনেমার মুক্তিতে প্রাণ ফিরে পান হলের মালিকরা। অনেক দিন পর বাংলা সিনেমায় হল হয় হাউজফুল। সময়ের এই ব্যস্ত নির্মাতার সাম্প্রতিক কাজ, ব্যক্তিজীবন ও নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন আরটিভি নিউজের সঙ্গে। আলাপ করেছেন কুদরত উল্লাহ।
আরটিভি : সাম্প্রতিক ব্যস্ততা কি নিয়ে?
রাশিদ পলাশ : প্রীতিলতার শুটিং শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর মাস পুরোটাই শুটিং করতে চাই আমরা। আপাতত প্রীতিলতার সাথেই বসবাস করছি।
আরটিভি : প্রথম সিনেমা নির্মাণ করে বেশ আলোচনায় চলে এসেছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
রাশিদ পলাশ : আলোচনা-সমালোচনা দুটোই আমার কাছে পজিটিভ। কাজ করলে আলোচনা হবে। কাজ করতে চাই। ভালো কিছু সিনেমা বানাতে চাই। বাংলা সিনেমায় আবার সোনালি সময় আসছে। আমরা সে সময়ের সাক্ষী হবো।
আরটিভি : দর্শকের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
রাশিদ পলাশ : পদ্মাপুরাণ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ দেখে আমরা পুলকিত। এটা আমাদের দায়িত্ব বাড়িয়েছে। পদ্মাপুরাণে অনেকগুলো হাউসফুল শো হতে দেখেছি। এটা আমার জন্য ঈদের আনন্দের থেকেও বেশি কিছু।
আরটিভি : শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রাশিদ পলাশ : শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। এটা ঠিক শুটিং না বলে... যুদ্ধ বলা যায়। একটা বিচ্ছিন্ন চরে শুটিং করেছিলাম আমরা। রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছিলাম টিমের সবাই। সারাদিন শুটিং করে সন্ধ্যায় নদীতে অনেকটা সময় ডুবে থাকতাম। একবার একটা ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। ‘ফনী’ আমাদের সব কিছু লন্ড ভন্ড করে দিয়ে গিয়েছিল। ৪ দিন বন্ধ ছিল শুটিং।
আরটিভি : ব্যক্তিগত জীবন কেমন যাচ্ছে?
রাশিদ পলাশ : ব্যক্তিগত জীবনে আমি সুখী মানুষ। আলহামদুলিল্লাহ।
আরটিভি : দিনশেষে নিজেকে সময় দিতে পারেন?
রাশিদ পলাশ : জীবিকার তাগিদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে কাজ করি। এরপর যেটুকু সময় পাই তার সবটুকুই সিনেমার জন্য। দিনশেষে নিজের জন্য আপাতত কোনো সময় নেই।
আরটিভি : নতুন কাজের খবর আছে?
রাশিদ পলাশ : প্রীতিলতা শেষ করে শুরু হচ্ছে ময়ূরাক্ষী'র শুটিং। এ মাসেই ময়ূরাক্ষীর ১ম লুক আসছে। সব কিছুই প্রায় গোছানো। জানুয়ারিতে শেষ করতে চাই ময়ূরাক্ষী। এছাড়া লাইভ টেকনোলজির ‘কালা’ শিরোনামে একটা থ্রিলার বানাতে চাই। একটা আন্তর্জাতিক ওটিটি প্লাটফর্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, দেখা যাক, আল্লাহ ভরসা।
আরটিভি : নিজেকে ব্যাখ্যা করবেন কীভাবে?
রাশিদ পলাশ : মানব জনম এ এক বিরাট রহস্য আমার কাছে। আমিও সে রহস্যের অংশ
আরটিভি : নিমার্ণের ব্যস্ততা আর ব্যক্তি জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে কি কোনো তফাত খুঁজে পান?
রাশিদ পলাশ : ব্যস্ততা আর ব্যাক্তি জীবনের ব্যস্ততা মিলেমিশে একাকার। দিনশেষে দুই আমার পরিবার। দুই খানেই সমান বিচরণ করি।
কোনো তফাত খুঁজে পাইনা।
আরটিভি : শুটিং কিংবা ঘুরতে দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?
রাশিদ পলাশ : আপাতত না, তবে আগামী বছরের মাঝামাঝি তুরস্কের একটা কাজের আলাপ আছে, এই আর কি।
আরটিভি : বাসায় বসে নাটক কিংবা সিনেমাগুলো দেখা হয়?
রাশিদ পলাশ : সুযোগ পেলেই সিনেমা দেখি। বিভিন্ন ওটিটির কাজগুলো দেখার চেষ্টা থাকে। নাটক দেখা হয় না।
কেইউ/এসকে
মন্তব্য করুন