জমে উঠেছে টেলিভিশন প্রযোজক সমিতির নির্বাচন ২০২২-২০২৪। আগামী ১৯ মার্চ টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর নির্বাচন। এ উপলক্ষে চলছে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের পরিচিতি পর্ব।
এবার দুটি প্যানেল নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদে মনোয়ার পাঠান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাজু মুনতাসির। সম্প্রতি এই প্যানেলের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সংগঠনের সদস্য ভোটারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেই আয়োজনে বলা হয়, টেলিপ্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই সংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মনোয়ার হোসেন পাঠান। সেই দিক থেকে সভাপতি হিসেবে তার অবস্থান খুবই সুদৃঢ়।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসিরের দক্ষতা প্রমাণিত। সংগঠনের সেবার মানসে তিনি নতুন করে আবারও ভোটারদের কাছে সুযোগ চেয়েছেন। সাংগঠনিক দক্ষতাই তাকে ভোটের মাঠে কিছুটা এগিয়ে রাখবেন বলে সংশ্লিষ্ট জনরাও মনে করছেন। তবুও ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রার্থী ও ভোটাররা প্রত্যাশা করেন, ভোটের পরিবেশ যেন সুস্থ থাকে এবং এটা যেন কোনোভাবেই এফডিসির শিল্পী সমিতিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির মতো কোনো জটিলতা তৈরি না করে। শিল্পের পরিবেশটা যেন ঠিক থাকে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী মনোয়ার হোসেন পাঠান বলেন, “আমরা আমিত্বকে বিশ্বাস করি না বলেই আমাদের স্লোগান ‘আমি না, আমরা’। এই স্লোগানে আমরা সমমনা ২৭ জন এক হয়েছি। আমরা মনে করি, আমিত্বকে দূরে ঠেলে আমরা সবাইকে নিয়ে টেলিপ্যাবকে সময় উপযোগী, আধুনিক এবং কার্যকর একটি সংগঠনে রূপ দিতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রযোজকরাই প্রযোজকদের মনের কথা বুঝবেন এবং সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন। টেলিপ্যাব আমাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সংগঠন। কিন্তু নানাবিধ কারণে সেটি বাস্তব রূপ পায়নি। আমাদের অঙ্গীকার যে কোনো মূল্যে আগামী দুই বছরের মধ্যেই সবাইকে নিয়ে টেলিপ্যাবকে প্রধান সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।’
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাজু মুনতাসির বলেন, ‘আমাদের পরিচয় আমরা প্রযোজক এবং প্রযোজকদের জন্যই গড়ে তুলব আগামীর টেলিপ্যাব। আমরা আমাদের নিজ নিজ নির্বাচনি ইশতেহারে ততটুকুই বলব, যতটুকু দুই বছরে বাস্তবায়নযোগ্য। আমরা প্রযোজকদেরকে মিছে স্বপ্নে বিভোর করতে চাই না, কথার ফুলঝুরিও ছিটাতে চাই না। কথা দিলাম আমাদের ভাবনা হবে এবার সেটাই যা কেউ আগে ভাবেনি এবং সেই ভাবনা অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য, অলীক স্বপ্ন নয়।’
ভাবনার বাস্তবায়নে সাংগঠনিক এবং আইনি; দুইটি বিষয়েই মনোয়ার পাঠান ও সাজু মুনতাসির প্যানেল শতভাগ সচেতন বলে দাবি করেন। শুধু প্রয়োজন সকলের সমর্থন।
এই প্যানেলে আরও যারা প্রার্থী হয়েছেন- সহসভাপতি পদে লড়বেন মাহবুবা শাহরীন তায়েব (মিতু), কাজী রিয়াজ হোসেন নয়ন, কাজী সাইফুল ইসলাম সোহেল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন শহিদ আলমগীর ও রেজাউল হক রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আইনুল ইসলাম চৌধুরী (চঞ্চল), অর্থ সম্পাদক পদে মো. রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক পদে নাহিদ নিয়াজী রিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে এম এস কে সানজিদ খান প্রিন্স, আইন বিষয়ক সম্পাদক শিমুল সরকার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাকির খান, আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক এম এম মাসুদ করিম (সুজন), আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম রেজাউল করিম সজল, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক অনন্য ইমন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সায়েম মিয়া।
এছাড়াও কার্যনির্বাহী পদে নির্বাচন করবেন জিনাত হাকিম, বাবুল আহমেদ, কামাল খান, আনসারুল আলম লিংকন, কাজী আবু বকর সিদ্দিকী (কাজী রিটন), শেখ রুনা, মো. বাশেদ সিমন, আইনুল হক আদিল, মো. মোজাম্মেল হক খান এবং মনির পারভেজ।