ঢাকারোববার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের দিন ঋতুদা চন্দন পরিয়েছিলেন, তার শেষ বিদায়ে আমি সাজিয়েছি : ঋতুপর্ণা

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ৩০ মে ২০২২ , ০৮:১০ পিএম


loading/img

ঋতুপর্ণ ঘোষ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত- একজন নির্মাতা, অন্যজন নায়িকা। কাছাকাছি বাড়িতেই থাকতেন তারা। সুযোগ পেলেই ঋতুপর্ণের বাড়িতে যেতেন ঋতুপর্ণা। মাঝে মাঝে নায়িকাকে নিজেই ডেকে নিতেন নির্মাতা। চলতো আড্ডা। এভাবেই কেটেছে বহু দিন, যা এখন শুধুই স্মৃতি।

বিজ্ঞাপন

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টেছে জীবনচিত্র। পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। আজ (৩০ মে) তার নবম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রিয় মানুষটির চলে যাওয়ার দিনে পুরোনো স্মৃতিতে তাকে খুঁজেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

তিনি জানিয়েছেন, 'আমার জন্মদিন মানেই ঋতুদার শাড়ি। হয় তাঁত, নয়তো জামদানি। পর্দায় তিনি আমাকে যে ধরনের শাড়িতে দেখতে চাইতেন, সে রকম। আমার বিয়ের কার্ডও ঋতুদার হাতে তৈরি। বিয়ের দিন যে চন্দন সবাই আমার কপালে দেখেছিলেন সেটাও ঋতুদার আঁকা। আমার শাড়ির পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে এঁকে দিয়েছিলেন। ঋতুদার শেষ বিদায়ে আমি তাকে নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছিলাম।'

বিজ্ঞাপন

ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরেই বাণিজ্যিক ধারার ছবি থেকে অন্য ধারার ছবিতে ঋতুপর্ণার পথচলা শুরু। ঋতুপর্ণের ‘দহন’ ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পান নায়িকা। সে কথা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দেয় ঋতুপর্ণার। এ ছাড়া শুটিংয়ের সময় বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরেছেন, আড্ডা দিয়েছেন- সেসব স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

ঋতুপর্ণার ভাষ্য, 'শুধু আমি বলে নয়, সবার প্রতি ছিল তার সমান মনোযোগ, টান। যতটা পারতেন সবার আবদার মেটানোর চেষ্টা করতেন। এ ছাড়াও তার নানা বিষয়ে প্রচণ্ড জ্ঞান ছিল। সেটা পিকাসোর আঁকা ছবি হোক বা পাশ্চাত্যের চলচ্চিত্র।'

আক্ষেপ করে নায়িকা বলেন, 'ঋতুদার সঙ্গে মাত্র দুটো ছবিতে কাজ করেছি। দহন এবং উৎসব। তিনি আমাকে ‘চোখের বালি’ ও ‘দোসর’-এ অভিনয়ের জন্য ডেকেছিলেন। আমি পারিনি। এজন্য আজও হাত কামড়াই।'

বিজ্ঞাপন

সূত্র: আনন্দবাজার

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |