বলিউডের জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ আবাসন থেকে অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর আড়াই বছর পরেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন না খুন হয়েছেন, এ নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক।
সুশান্তের মৃত্যুতে মুম্বাই পুলিশের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ও সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এই মামলার তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের ডিআইজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে বলেন, অভিনেতার মৃত্যুর পর বিহার থেকে পুলিশের একটি টিম এই মামলার তদন্ত করতে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি মুম্বাই পুলিশ। এমনকি একজন আইপিএস অফিসারকেও তারা বন্দি করে রেখেছিল।
তিনি আরও জানান, এই মামলার তদন্ত করার জন্য আমার টিম এবং আমাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। অন্তত ১৫ দিন সময় পেলেও তাহলে এই মামলার মীমাংসা হয়ে যেত। এ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য বিশেষ একটি টিম গঠন করা হলে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কয়েক দিন আগে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন কুপার হাসপাতালে সুশান্তর ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য রূপকুমার শাহ। তিনি বলেন, আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছে অভিনেতাকে। সুশান্তের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপর থেকেই নতুন মোড় নিয়েছে এই মৃত্যুকে ঘিরে।
এদিকে রূপকুমারের বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়ে পোস্ট দেন সুশান্তের বোন শ্বেতা সিং কীর্তি। সেই সঙ্গে রূপকুমারের জীবন নিয়েও সংশয়ে রয়েছে বলেও ধারণা করছেন তিনি। তাই তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন সুশান্তের বোন।
খবর : এ এন আই