রফিক মিয়া একজন মাঝি, তার স্বপ্ন ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। এ জন্য যদি সব সম্পত্তি বিক্রিও করতে হয়, সেটি করতেও তিনি রাজি আছেন— এই লক্ষ্যে ছেলে রাতুলকে পড়ালেখা করান তিনি।
সমাজের কতিপয় লোক যারা গরিবকে কোনো স্বপ্ন দেখতে দেয় না, বাস্তবায়নও করতে দেয় না। রফিক মাঝির ছেলের ডাক্তারি পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটাতে সেই চিন্তা করেন এলাকার মাতবর সাহেব। মাতবর খুব অহংকারী ও হিংসুটে। তিনি চান না এলাকায় কেউ তার থেকে বড় হোক। এ কারণে রাতুলের ডাক্তারি পড়া নিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসেন। একপর্যায়ে মাতবরের ভয়ে রফিক মাঝি ও তার ছেলের স্বপ্ন নিমিষেই নদীর স্রোতে ভেসে যায়। পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে হাতে তুলে নেয় নৌকার বৈঠা।
এদিকে ছেলে কাজ শিখবে বলে তার মামার কাছে পাঠিয়ে দেয় রফিক মাঝি। এ কথাও এলাকার মাতবরসহ সবাই জানতে পারে। পরে জানা যায় রফিক মাঝি তার ছেলেকে ডাক্তারি পড়ার জন্য শহরে পাঠায়। ছেলে ডাক্তারি পড়ে এলাকায় আসলে সবাই জানতে পারে বিষয়টি। তখন মাতবরকে সবাই বলতে থাকে, মাঝির ছেলে ডাক্তারি পাস দিয়ে আইছে। মাতবর এটা নিতে পারে না, তাই তাদের মারার পরিকল্পনা করে। এভাবেই শেষ হয় নাটকটির গল্প।
মাওনা শ্রিপুরের মনোরম লোকেশনে শুটিং করা হয়েছে নাটকটির। এটি রচনা ও প্রযোজনা করেছেন শাকিবুর রহমান। হেলাল উদ্দিন ফারহানের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আফজাল কবির, পুস্প পাপরি, হায়দার আলি, মুক্তা, বাদল, আকলিমা লিজা প্রমুখ। খুব শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।