স্ত্রীর সঙ্গে মারামারি, নিজের পোস্ট মুছে দিলেন আরজে কিবরিয়া!
জনপ্রিয় রেডিও জকি (আরজে) কিবরিয়া সম্প্রতি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে স্ত্রীর হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানিয়ে স্ত্রী রাফিয়া লোরার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার মডেল থানায় মারধরের জিডি করেন কিবরিয়া।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘কক্সবাজার পর্যটন এলাকার একটি হোটেলের (১০২) নম্বর কক্ষে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওঠেন আরজে কিবরিয়া। কোনো একটা কারণে রাফিয়া লোরা সন্তানকে মারধর করেন। তখন কিবরিয়া বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করেন স্ত্রী। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়।’
ওসি আরও জানান, ‘খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কিবরিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী রাফিয়া লোরার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন।’
পরবর্তীতে বিষয়টি খুব বেশি পরিষ্কার না করে বললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন আরজে কিবরিয়া।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় পরিচিতজন, সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি কোনো দিন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা বলিনি। আমি বলতেও চাই না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার স্ত্রী। আমি কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ার নেগেটিভিটি ফেস করা মানুষ। আমি জানি একটা সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে অনলাইনে ছাড়া যায়। ঘটনা পুরোই উল্টে দেওয়া যায়। কাউকে নিয়ে পাবলিকলি বাজে কথা বলার পক্ষে আমি না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি জানি, শত্রু বলে যদি কেউ থেকে থাকে সে প্রথম এবং একমাত্র টার্গেট করবে আমার চরিত্র এবং পাবলিক ইমেজ। আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র ভয় পাই না। আমি ক্ষমা করতে ভালোবাসি। আমার সন্তানদের ক্ষতি যেমন আমি কোনো দিন মেনে নেব না, ঠিক একইভাবে আপনাদের এই ভুলভাল নিউজে তাদের ফিউচারে কোনো ক্ষতি হোক সেটাও আমি চাই না। প্লিজ। আমি আমার কাছে সৎ।কারও প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আস্থা রাখুন। দোয়া করবেন।’
তবে তার দেওয়া এই পোস্টটি তিনি মুছে ফেলেন তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে। তবে ঠিক কি কারণে মুছে ফেলেছেন এ বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক জটিলতা। তার অগনিত ভক্তদের মনে প্রশ্নে জেগেছে যা মুছে দেওয়ার মতো, তা কেন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলেন!
দীর্ঘদিন ধরে আরজে কিবরিয়া ও রাফিয়া লোরার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছে। এর জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
মন্তব্য করুন