বুবলী আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে সম্পর্ক গড়েছে : শাকিব
বর্তমানে ফের টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে শাকিব খান ও শবনম বুবলীর ব্যক্তিগত জীবনের লড়াই। রীতিমতো একে অপরকে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। কেউ যেন কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বুবলীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শাকিব। সেই সঙ্গে কিছু গুরুতর অভিযোগও এনেছেন এই নায়িকার বিরুদ্ধে।
শাকিব বলেন, বুবলী আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদের জন্মের পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে অনেকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল, বিভিন্ন স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল, যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একইসঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিকও হলো। হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব! কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে রাখা যায়, আপনারাই বলুন।
অভিনেতা আরও বলেন, পার্সোনাল বিষয়কে আমি কখনও ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে চাইনি বলে কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু বুবলীকে তো কাউকে বলতে বারণ করিনি। সে কেন তখন এ নিয়ে কিছু বলল না। সে এতটাই ক্রিটিক্যাল মাইন্ডের যে, গেল বছর ২৭ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে জয়ের জন্মদিনে তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করে আমাকে বিব্রত ও ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করল। একই সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের স্ক্যান্ডাল চাপা দিতেই সে তখন হুট করে ছবিটা প্রকাশ করে বসল। তার মনে যদি কোনো দুষ্ট বুদ্ধি না থাকতো, তাহলে সে তো আগেই এই ছবি প্রকাশ্যে আনতে পারত।
শাকিব বলেন, সবাই জানে আমার ও অপুর বিয়ের কথা। অথচ সে জানে না, এটি চরম মিথ্যা ছাড়া আর কী হতে পারে। এ নিয়ে তখন তো অপু তাকে গালাগালও করেছে। একজন লোকের বিয়ে করা বউ থাকার পর কী সে আরেকটি বিয়ে করতে পারে। বুবলী তো নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এখনও সে নিজেকে আমার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও বলছি, সে প্রমাণ করে দিক সে আমার স্ত্রী। বুবলী এখন আমার স্ত্রী নয়, এ কথা আমি আর কতবার বলব।
অভিনেতা বলেন, আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারও সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিনক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। শেহজাদের জন্মদিনেও সে জোর করে আমার বাসায় এসেছে। শেহজাদকে তার ন্যানি আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে।
যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ, এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। ঈদের দিন যেহেতু সে এসেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম, তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতের কোনো খাবারই আমি খাইনি।
বুবলীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শাকিব খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে নাকি সে মুখ খুলবে, আমিও তাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সে যেন মুখ খোলে। আমি তো সন্তানের স্বার্থে মুখ বন্ধ করে, এতদিন তার দেওয়া সব মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করে আসছি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আর মুখ বুঝে থাকব না। সে ও তার পরিবার আমার ওপর যা ঘটিয়েছে, সব খুলে বলতে সে যেন আমাকে বাধ্য না করে। আমি আবারও তাকে বলছি সন্তানের ভালোর দিকে তাকিয়ে সে যেন এসব নোংরামি বন্ধ করে। আমার জীবদ্দশায় আমি তার ছায়াও আর দেখতে চাই না। আমার ধারে-কাছে আসা এবং আমার বাসায় প্রবেশের কোনো অধিকার তার নেই। তার আর কোনো নাটক আমি দেখতে চাই না।
মন্তব্য করুন