এ প্রজন্মের অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে তিনি। শুক্রবার (৯ জুন) আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘ফেরা’। মুক্তির পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেত্রী। এতে পর্দায় ইয়াশ রোহানের সঙ্গে দেখা গেছে তাকে।
শনিবার (১০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ভক্তদের সঙ্গে গল্প করতে লাইভে আসেন দীঘি। এ সময় ‘ফেরা’ প্রসঙ্গে নেটিজেনদের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
দীঘি বলেন, সবাই কেমন আছেন? আপনারা সবাই কমবেশি জানেন কেন আমি আজকে লাইভে এসেছি। আমার আগের পোস্ট যারা দেখেছেন তারা হয়তো ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন। গতকাল আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে ‘ফেরা’ নামের একটি সিনেমা রিলিজ হয়েছে আমার। যেটা সুমন ধর পরিচালনা করেছেন। আমার সঙ্গে সিনেমায় কো-আর্টিস্ট ছিলেন ইয়াশ রোহান।
অভিনেত্রী আরও বলেন, এটা গেল ঈদের তৃতীয় দিন টিভিতে রিলিজ হয়েছিল। আমরা সবাই ঈদে কমবেশি ব্যস্ত থাকি। তাই টিভিতে অনেকে দেখতে পেরেছেন, আবার অনেকেই দেখতে পারেননি। যারা দেখেছেন এটা, তারা সবাই আমাকে রিভিউ জানিয়েছেন। আমি আসলে ওয়েট করছিলাম কতদিনে এটা অনলাইনে আসবে। ফোনে ফোনে সবাই দেখতে পাবে। এটা অনেক প্রিয় একটা কাজ আমার। তাই আমি চাচ্ছিলাম যে সবাই এটা দেখুক। ফাইনালি এটা রিলিজ হয়েছে গতকালকে। অলরেডি সিনেমাটার জন্য অনেক ফোন পাচ্ছি, কমেন্টস পাচ্ছি আমি।
‘ফেরা’-তে নিজের চরিত্রটি নিয়ে দীঘি বলেন, এখন পর্যন্ত করা শাহনাজ ক্যারেক্টারটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। অনেক ডিফারেন্ট ছিল। এই ধরনের চরিত্র এর আগে আমি করিনি। শাহনাজ ক্যারেক্টারটাতে অনেক বেশি ভেরিয়েশন ছিল। আর এটা করতে গিয়ে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শাহনাজ ক্যারেক্টারের জন্যই মূলত আমাকে অনেক ওয়েট কমাতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাতা যেদিন আমাকে স্ক্রিপ্ট দিয়েছিলেন, সেদিন আমাকে চরিত্রটির বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন যে, আমার শাহনাজের অনেকগুলো রূপ। শাহনাজ দেখতে কিন্তু একটু শুকনা। সে এতটা ইনোসেন্ট না। কিন্তু মানুষের সামনে ইনোসেন্ট হয়ে থাকে। তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ওয়েট কমাতে হবে। আমরা স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম যে কীভাবে আরও চরিত্রটি ন্যাচারাল করা যায়। অনেক বেশি ফুটিয়ে তোলা যায় পর্দায়। আমার কাছে অন্ধের পার্টটুকু অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং লেগেছে। আমি আসলে অনেক ভয় পাচ্ছিলাম যে কাজটা সত্যিই করতে পারব কিনা। কিন্তু সুমন ধরের ওপরে অনেক আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। যেহেতু এর আগে একটা কাজ অনেক খুব সহজেই শেষ করেছি আমরা। আর সেটি দেখে মানুষ অনেক প্রশংসাও করেছে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে দর্শকরা যারা যশ-শাহনাজের জুটিটা দেখেছেন তারা সবাই প্রশংসা করেছে। আর ইয়াশের সঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্য অনেক কমফোর্টেবল। তার সঙ্গে যখন ‘শেষ চিঠি’ করেছি। তখন থেকেই আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। শুটের সময় আমার যে প্রবলেমগুলো হয়েছে তখন হেল্প করেছে। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করেছি। শুটিংয়ের সময় এমনও হয়েছে শট শেষ করে ভোর ৫টায় বাসায় এসে আবার সকাল ৯টায় সেটে গিয়েছি। আর সিনেমাটার পুরো ডাবিংটাই আমি রোজা রেখে করেছিলাম।
দীঘি বলেন, ঈদে আসলে মানুষ একটু কমই টিভি দেখে। বেশিরভাগ সময়টা বাইরেই থাকে। তারপরও যারা দেখেছে, সিনেমাটি ভালো হয়েছে বলেছে। আমি নিজেও যখন টিভিতে দেখেছি, তখন আমরা কাছেও ভালো লেগেছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারতাম আমি। এটা যখন অনলাইনে রিলিজ হল, সেটা দেখার পর সবাই যখন কমেন্টস করেছে, মেসেজ করেছে যে, শাহনাজকে তাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তখন একটা ভালো লাগা কাজ করেছে। আর এই জুটিটা আপনারা এতো ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন তাতে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আশা করছি আগামীতে আরও ভালো ভালো কাজ আপনাদেরকে উপহার দিতে পারব। এভাবেই সব সময় আমার পাশে থাকবেন আপনারা।