জাহিদ হাসানের কাছে ক্ষমা চাইলেন মাহফুজ
একসময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা জাহিদ হাসান ও মাহফুজ আহমেদ। প্রায় কাছাকাছি সময়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন এই দুই তারকা। পর্দার বাইরে দুজন ভালো বন্ধুও বলা চলে। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন দুজনই।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করেন মাহফুজ। এ সময় অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি। যেখানে জাহিদ হাসান তার চরিত্র কেড়ে নিয়েছেন বা হুমায়ূন আহমেদ তাকে অভিনেতা হিসাবে সঠিক মূল্যায়ন না করার কথা সামনে এসেছে।
স্মৃতিচারণে মাহফুজ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় জাহিদ হাসান যে চরিত্রটি করেছে সেটা নিয়ে আগে আমার সঙ্গে কথাবার্তা ফাইনাল ছিল। কাজটি আমি করছি এ রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়ায় যাই।
পরে শুনি, চলচ্চিত্রটিতে ফেরদৌস যে চরিত্রটা করেছে, সেটাতে আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি এ চরিত্রে কাজ করব না। হুমায়ূন আহমেদ কখনও ভাবতেও পারেননি আমি ‘না’ করব। এরপর আমি আর তার কাছে যাইনি।
পরে জানতে পারি, জাহিদ হাসান ছাগল জবাই করে হুমায়ূন আহমেদকে খাইয়েছেন। তার বিনিময়ে দাবি করেছেন, এই চরিত্রটা আমি করব (যেটার জন্য আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম)।
অভিনেতা আরও বলেন, জাহিদ আমাকে বলতে পারত— মাহফুজ, এই চরিত্রটা আমি করব। তার কথা বাদ দিলাম। হুমায়ূন আহমেদও তো আমাকে ডেকে বলতে পারতেন— মাহফুজ, তোমাকে যে চরিত্রের কথা বলেছি সেটা জাহিদ করতে চায়। আমি হয়তো নিষেধ করতাম না। কিন্তু তিনি (হুমায়ুন আহমেদ) আমাকে সেটা বলার বা জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। এরপর আমি আর কখনও তার কাছে যাইনি।
তবে নেটমাধ্যমে মাহফুজের এমন মন্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হলেও জাহিদ হাসান কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন, মাহফুজ কী বলেছে সেটা সে ভালো জানে।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মাহফুজ বলেন, আসলে স্মৃতিচারণ করার জন্য কিছু কথা বলেছি। স্মৃতিতে তো কিছু সত্য চলে আসে। তবে কাউকে দুঃখ দেওয়া বা ছোট করার ইনটেনশন থেকে আমি এটা বলিনি।
শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে আরেকটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ক্ষমা চেয়ে অভিনেতা বলেন, আমি আসলে বুঝতে পেরেছি, কথাগুলো এভাবে বলাটা ঠিক হয়নি।আমি ভুল করেছি, সেজন্য তার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ক্ষমা চেয়েছি। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। এখন জাহিদ আমাকে ক্ষমাও করতে পারে, আছাড়ও (প্রতিশোধ) মারতে পারে। এ নিয়ে আর কিছু বলব না।
মন্তব্য করুন