এক চুলও ছাড় দিতে চাই না : তুষি
ক্যারিয়ারে খুব বেশি কাজ না করলেও কাজের মানের কারণেই বারবার আলোচনায় উঠে এসেছেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালের আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’র সফলতা ক্যারিয়ারে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে তাকে।
যেখানে তীক্ষ্ণ চোখের চাহনির ‘গুলতি’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের ২৯ জুলাই ‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর ব্যাপক ব্যবসায়ীক সাফল্য, সমালোচকদের প্রশংসা সবই পেয়েছে। এখনও সিনেমাটি চলছে দেশ এবং বিদেশি ওটিটি মাধ্যমে।
সম্প্রতি মেজাবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি ভারতীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পেয়েছে। বাংলা, হিন্দি, তেলেগু, তামিল ও মালয়ালাম পাঁচটি ভাষায় দেখা যাচ্ছে সিনেমাটি।
এ প্রসঙ্গে তুষি বলেন, এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়। প্রথম যখন দেখলাম আমার মুখে কথা তামিল বা অন্য ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে, বিষয়টি মজাই লেখেছে। এটা আমি বেশ এনজয়ও করছি।
‘হাওয়া’ সনি লিভে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই থেকে কাজের অফার পাচ্ছেন তুষি। তবে টালিউড বা বলিউড বলেই যে কাজ করতে রাজি হবেন এই অভিনেত্রী, বিষয়টি এমন নয়। তার ভাষ্য, যেখানেই কাজ করি না কেন কোয়ালিটি কাজের ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় দিতে চাই না।
তুষি আরও বলেন, আমি কাজের মানের দিকে সব সময়ই নজর রাখি। সেটা কলকাতা কিংবা মুম্বাইয়ে কাজ কলেও বজায় রাখতে চাই। আমার ক্যারিয়ারে অনেক কাজ করিনি, কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছি মাত্র। বরাবরই সংখ্যার চেয়ে কোয়ালিটির দিকে মনযোগী ছিলাম। সেই জায়গা থেকে কাজের ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয় বা পরিচিত নির্মাতা হতে হবে এমন না। টিমটা ভালো, যে তার কাজের প্রতি সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে- এমনটা চাওয়া। কারণ একটা সিনেমা আমার কাছে টিম ওয়ার্ক, থিয়েটারের মতো। সেই জায়গাগুলো ঠিক থাকলেই বাইরের কাজ করব- যোগ করেন তিনি।
সেক্ষেত্রে কেমন গল্প বা চরিত্রকে প্রাধান্য পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তুষি বলেন, আমার পার্সোনাল, ইমশোনাল গল্প পছন্দ। একইসঙ্গে থিওরিটিক্যাল, ফ্যান্টাসি- যেটা আমার কল্পনার বাইরের চরিত্র। এমন চরিত্র করতে চাই, যেখানে তুষি থেকে বের হয়ে অন্য জীবনের আলো বা অন্ধকার দেখতে পাব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু হয় নাজিফা তুষি। ওই আসরে তিনি প্রথম রানারআপ হন। এরপর ২০১৬ সালে নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘আইসক্রিম’ দিয়ে শুরু করেন চলচ্চিত্রে যাত্রা।
মন্তব্য করুন