স্টুডিও ঝাড়ু দিতেন নায়িকা রাভিনা
বলিউডের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন। ফিল্মি পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড হওয়া সত্ত্বেও স্টুডিওর মেঝে পরিষ্কার করতে হয়েছে তাকে। পরে প্রথম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। যদিও তারমতো অনেক তারকা যেমন— রজনীকান্ত থেকে অক্ষয় কুমার এবং অন্যান্য অনেক অভিনেতাকেই ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছু অদ্ভুত কাজ করতে হয়েছে।
রাভিনা ট্যান্ডন চলচ্চিত্র নির্মাতা রবি ট্যান্ডন ও বীনা ট্যান্ডনের কন্যা। ফিল্মি স্টারকিড হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম দিকে নানা সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে রাভিনা জানিয়েছিলেন, একটা সময় তাকে মেঝে ঝাড়ু দিয়ে বমি মুছতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, এটি একেবারে সত্য। আমি স্টুডিওর মেঝে এবং জিনিসপত্র থেকে বমি মুছতাম। আমি প্রহ্লাদ কক্করকে সহায়তা করেছি। তখন ক্লাস টেনে পড়ি। তখনও তারা বলতেন পর্দার আড়ালে কী করছ? তোমায় তো পর্দার সামনে থাকতে হবে। তোমার জন্য এসব নয়।
সালমান খান অভিনীত পাত্থর কে ফুল সিনেমা থেকে প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন এবং সিনেমাটি বাণিজ্যিক সাফল্য দিয়েছিল। রাভিনা ট্যান্ডনের জন্য এটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যা তাকে রাতারাতি তারকা করে তোলে। তার পরবর্তী কয়েকটি রিলিজ হওয়া সিনেমাও বক্স অফিসে হিট হয়ে ওঠে।
১৯৯৪ সালে রাভিনা ট্যান্ডন দশটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেছিলেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই সফল। মোহরা, দিলওয়ালে, অতীশ ও লাডলা, বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী প্রযোজনার মধ্যে একটি ছিল। এরপরে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি নব্বইয়ের দশকে বলিউডের শীর্ষ তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন এবং সেই সময়ের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন। কল্পনা লাজমির দামান: আ ভিক্টিম অব ম্যারিটাল ভায়োলেন্সে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। যখন ইন্ডাস্ট্রিতে তার বছরগুলো কেটে যায়। এরপরে তিনি বেশ কয়েকটি হিট এবং মাঝারি সফল সিনেমাও উপহার দিয়েছিলেন।
২০২১ সালে ওটিটি দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন রাভিনা। তিনি কেজিএফ টু’য়ের মতো ব্লকবাস্টার এবং কর্মা কলিংয়ের মতো সিরিজে অভিনয় করেছেন, পাটনা শুক্লা নামে ওয়েব সিরিজের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি।
মন্তব্য করুন