নিয়ম ভেঙে কলকাতার শুরুর ম্যাচেই মাঠে থাকছেন শাহরুখ
পর্দা উঠতে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আসর শুরুর দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৩ মার্চ) ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আতিথেয়তা দেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন সন্ধ্যায় ঘরের মাঠে হাজির থাকবেন শাহরুখ খান।
সাধারণত কিং খান আসছেন কি না, সেটি এত আগে থেকে জানা যায় না। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার কলকাতার প্রথম ম্যাচেই মাঠে থাকবেন শাহরুখ। এটাই যথেষ্ট শ্রেয়াসদের চার্জড আপ হওয়ার জন্য।
শাহরুখই যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সেরা আকর্ষণ। নাইটদের ইউএসপি। তিনি মাঠে থাকা মানে কলকাতা শিবিরে একরাশ টাটকা অক্সিজেন। তার মতো মোটিভেটর বিশ্ব সংসারে হাতে গোনা।
তিনি কিং খান, বলিউডের বাদশা, কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক। বলাই যাচ্ছে শনিবার ইডেনে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সেরা উপহার হতে চলেছেন শাহরুখই। ইডেনে ম্যাচ দেখতে আসবেন, দলকে নাকি আগেই সেটি জানিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ। এত আগাম নোটিশ দিয়ে আসা যে তার স্বভাববিরুদ্ধ। আপাতত তিনি বিদেশে। তবে শনিবারের কলকাতা সফর ক্যালেন্ডারে লিখে ফেলেছেন কিং খান।
এমনিতেই শাহরুখ নানারকম বিশ্বাস আঁকড়ে চলেন। শাহরুখের সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই যে গল্প শোনা যায়। যেমন-- শাহরুখ মনে করেন, শুরু থেকে তিনি মাঠে থাকলে নাকি কলকাতা হেরে যায়। যে কারণে তিনি মাঠে আসেন খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার কয়েক ওভার পরে।
ইডেনে পাওয়ার প্লে চলছে। আর গ্যালারি উন্মুখ হয়ে চেয়ে রয়েছে বি ব্লকের বিখ্যাত সেই ব্যালকনির দিকে। যেখানে এসে দাঁড়ান শাহরুখ। ইডেনে কলকাতার ম্যাচে যে অপেক্ষা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঠিক সে রকমই, শাহরুখ মাঠে আসবেন কি না, তা না কি ঠিক করেন ম্যাচের দিন সকালে। তারপর চার্টার্ড ফ্লাইটে পুত্র-কন্যা, বন্ধুদের নিয়ে উড়ে আসেন। কখনও কলকাতায়। কখনও ব্যাঙ্গালুরুতে।
তবে এবার কলকাতার ম্যাচ দেখতে এতটাই মুখিয়ে রয়েছেন শাহরুখ যে, আগাম জানিয়ে রেখেছেন, শনিবার আসছেন। আইপিএলে টানা দশ বছর ট্রফিহীন কেকেআর। সেই কবে ২০১৪ সালে ট্রফি এসেছিল গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে। তারপর থেকে সঙ্গী শুধু হতাশাই। এমনকি, দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় তিনি, প্রবল ইতিবাচক মানুষ শাহরুখও যেন দূরে সরেছিলেন। গত আইপিএলেও সব ম্যাচে ইডেনে আসেননি। দলের ওপর কি অভিমান হয়েছিল তার?
তবে ঘুরে দাঁড়ানো শাহরুখই শিখিয়েছেন। পাঠান, জওয়ানের মতো ব্লকবাস্টারের হাত ধরে বক্স অফিসে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। এবার কি তার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা? নিজে উদ্যোগ নিয়ে গম্ভীরকে মেন্টর করে ফিরিয়েছেন। রেকর্ড দামে মিচেল স্টার্ককে তুলে নিয়েছে কেকেআর। এবার কি ট্রফি ফেরানোর অপেক্ষা?
কেই বা ভুলতে পারে সিনেমায় তার অব্যর্থ মন্ত্র- ‘হার কে জিতনে ওয়ালোকো বাজিগর কহতে হ্যায়...’।
মন্তব্য করুন