মা হারালেন অভিনেতা জামিল
মীরাক্কেল খ্যাত কমেডিয়ান ও ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা জামিল হোসেনের মা আর নেই। রোববার (১৯ মে) নোয়াখালিতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা জিয়া উদ্দিন আলম।
নির্মাতা জিয়া উদ্দিন আলম আরটিভিকে বলেন, বেশ অনেক দিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন জামিলের মা। । রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় নিজ এলাকা নোয়াখালিতেই তিনি মারা যান। জামিলও সেখানে আছে।
জানা গেছে রোববার (১৯ মে) রাতেই দাফন সম্পন্ন হবে অভিনেতা জামিল হোসেনের মায়ের।
মন্তব্য করুন
বিজয় দিবসে রাজধানীতে তিন কনসার্ট
দেশের মানুষ যে দিনটির জন্য চিরকাল গর্ববোধ করবে, সেটি আজকের এই দিন— ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। আজ মহান বিজয় দিবস।
ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপনে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের খ্যাতিমান সব শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘সার্বজনীন কনসার্ট’। সেখানে পারফর্ম করবে জেমসসহ দেশের জনপ্রিয় একঝাঁক শিল্পী। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় শুরু হবে এই উন্মুক্ত কনসার্ট।
সেখানে বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে, নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। এতে একক শিল্পী হিসেবে গাইবেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশিদ আলম, কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, বেবী নাজনীন, মনির খান, কণা, ইমরান, প্রীতম, মৌসুমী ও জেফার।
এ ছাড়া নগরবাউল, ডিফারেন্ট টাচ, আর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা ও সোনার বাংলা সার্কাস-এর মতো ব্যান্ড থাকবে ।
এদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে উন্মুক্ত সংগীতানুষ্ঠান। পাশাপাশি বিজয় দিবস উদযাপনে যমুনা ফিউচার পার্কে থাকছে ‘ভিক্টোরি ফেস্ট ২০২৪’। সকাল ১১টায় শুরু হবে, চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। সংগীত পরিবেশনায় থাকবেন কাকতাল ও শুভ্র।
আরটিভি/এএ
অনলাইনে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা ডাউনলোড করলেই পড়তে হবে বিপদে
বহু প্রতীক্ষার পর গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পায় আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’। এরপর থেকেই একের পর রেকর্ড ভেঙে চলেছে সিনেমাটি। বক্সঅফিস মাতানোর পাশাপাশি শুরু থেকেই ঘটছে সিনেমাটি ঘিরে একের পর এক বিপত্তি। এরই মধ্যে সিনেমাটির হলপ্রিন্ট কপি বিভিন্ন অনলাইন সাইটে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে ডাউনলোডেরও চেষ্টা করছেন।
যারা এই ছবিটি ডাউনলোডের চেষ্টা করছেন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে বিপদ! কারণ কোনো সিনেমার পাইরেটেড কপি অনলাইনে ফাঁস করে ছড়িয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে নির্দিষ্ট শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
তাছাড়া অনলাইন থেকে পার্সোনাল কম্পিউটার/ল্যাপটপে এই সিনেমা ডাউনলোড করলে এর সঙ্গে প্রবেশ করতে পারে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার।
প্রথমত, কোনো সিনেমার পাইরেটেড কপি অনলাইনে ফাঁস করে ছড়িয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকলে নির্দিষ্ট শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া পার্সোনাল কম্পিউটার/ল্যাপটপে প্রবেশ করতে পারে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার। পাইরেটেড ওয়েবসাইটগুলো প্রায়শই ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার দিয়ে ভরা থাকে। যা আপনার ডিভাইস এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার স্তর ভেঙে দিতে পারে।
কিছু সাইট বিনা মূল্যে সিনেমা ডাইনলোড করার অনুমতি দেয়। কিন্তু প্রদত্ত সাবস্ক্রিপশন বা পরিষেবার জন্য সাইন আপ করার জন্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে। এর ফলে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ফিশিং স্ক্যাম, ভুয়া অফার ইত্যাদি প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন ডাউনলোডকারীরা।
জানা গেছে, মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পুষ্পা টু সিনেমা তামিলরকার্স, ফিল্মজিলা, মুভিরুলজ, ইবোমা এবং তামিলযোগী-সহ বিভিন্ন অবৈধ পাইরেসি ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়েছে। এই প্লাটফর্মগুলো ১০৮০পি, ৭২০পি, ৪৮০পি এবং এইচডির মতো একাধিক রেজোলিউশনে পাইরেটেড সংস্করণ সরবরাহ করছে। যা বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। কিন্তু এগুলো ডাউনলোড করলে একাধিক বিপদে পড়তে পারেন ডাউনলোডকারীরা।
আরটিভি/এএ/এআর
অন্তঃসত্ত্বার খবর গোপন রাখেন ঐশ্বরিয়া, অতঃপর...
বর্তমানে বলিউডের তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের জল্পনায় সরগরম নেটদুনিয়া। গেল এক বছর ধরে চলছে এই চর্চা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও নীরব ভূমিকা পালন করছেন দুজনেই। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি এ দম্পত্তিকে এক সঙ্গে দেখা যায়। এসবের মাঝে সামনে এলো আরেক পুরনো ঘটনা।
এদিকে, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ছবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিচালক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মধুর ভান্ডারকর ছবির কাজ শুরু করে দেন। কাজ শুরুর পর হঠাৎ তিনি জানতে পারেন, ঐশ্বরিয়া চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারপরেই পরিচালকের মাথায় হাত। কারণ, তিনি এটা জানতেন না।
সে সময় চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর চেপে রাখায় কটাক্ষ-অপমানের শিকার হতে হয় ঐশ্বরিয়াকে। তখনই পুত্রবধূর পাশে দাঁড়ান অমিতাভ বচ্চন। তিনি ঐশ্বরিয়াকে সাপোর্ট করে বলেন, আপনি জানেন ঐশ্বরিয়া বিবাহিত। তিনি যখন ছবি সই করেছেন তখনও সেটা জানা ছিল। আপনি বলতে চাইছেন অভিনেত্রীরা বিয়ে করবেন না, সন্তান নেবেন না? এটা নিয়ে কথা বাড়ানোর কোনো মানে আছে বলে আমার অন্তত মনে হয় না। তাছাড়া এমন কি কোথাও লেখা আছে যে, একটা প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকলে অভিনেত্রীরা সন্তান নিতে পারবেন না?
যদিও মধুর ভান্ডারকর স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, প্রোজেক্ট চলাকালীন সত্যি তিনি বিপদে পড়েছিলেন। কীভাবে সবটা সামলাবেন বুঝতে পারছিলেন না। টিমের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সাহস হচ্ছিল না তার। ফলে তিনি অবসাদে ডুবে যান, এক পর্যায়ে সেই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় ঐশ্বরিয়াকে। তার জায়গায় অভিনয় করেন কারিনা কাপুর।
আরটিভি/এএ/এআর
ওমর সানীর বাসায় ডাকাতি, সন্দেহের তীর যার দিকে
সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়ক ওমর সানীর। আগের মতো তাকে খুব একটা অভিনয়ে দেখা যায় না। তবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন এই নায়ক। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চাপওয়ালা নামে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে আক্ষেপ করে অভিনেতা জানিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা এমন হবে জানতে পারলে এই ব্যবসায় নামতেন না তিনি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই এই নায়কের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর সেই চুরির ঘটনা ঘটার ১৩ দিনের মাথায় এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়ক নিজেই।
ওমর সানী জানান, প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।
তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডাকাতিরঘটনায় সন্দেহের তীর ওমর সানী নিক্ষেপ করেছেন নিজের প্রাক্তন গাড়িচালক ও বাসার কেয়ারটেকারের দিকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রথমত, আমার ছেলের ব্যবসায় প্রতারণা করা ছেলেটি। দ্বিতীয়ত, আমার গাড়ির সাবেক ড্রাইভার ও বাসার কেয়ারটেকারকে সন্দেহ করছি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে। ইতমধ্যে দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওমর সানীর অভিযোগের পর আমরা তার বাসা পরিদর্শন করেছি। তিনি ডাকাতির ঘটনায় বলছেন আসলে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। এটাকে চুরি বলা যায়। তবে তার বাসা থেকে বেশকিছু জিনিস দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা দুই জনকে আটক করেছি। বিষয়টি আমাদের তদন্তে রয়েছে।
আরটিভি /এএ
অশ্লীলতার অভিযোগ, নিষিদ্ধ হলো ১৮ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বলদে যাচ্ছে বিনোদনের মাধ্যম। একসময় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান কিংবা প্রেক্ষাগৃহই ছিলো বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। তবে বর্তমানে সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।
অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও সে ধারা বজায় আছে। দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। তবে অশ্লীল কনটেন্ট দেখানোর অভিযোগে ভারত সরকার দেশটিতে চলমান ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, ভারতের সরকাড়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব প্ল্যাটফর্ম ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে আপত্তিকর এবং পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট প্রচার করছিল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এগুলোর প্রসার ঘটানো হচ্ছিল।
২০২১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ভারতে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের ওপর একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু ওই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আপত্তিকর কনটেন্ট প্রচার করে। যার কারণে দেশীয় সংস্কৃতি এবং আইন রক্ষার্থে সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
নিষিদ্ধ করা ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আনকাট আড্ডা, ভুভি, ড্রিমস ফিল্মস, ইয়েসমা, ট্রি ফ্লিকস উল্লেখযোগ্য। সরকার শুধু এই অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করেনি সেই সঙ্গে মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারা এই অভিযোগ এনেছে যে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো সচেতনভাবেই ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করেছে এবং অশ্লীল কনটেন্টের মাধ্যমে সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি লোকসভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন লঙ্ঘনকারী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো শুধুমাত্র অশ্লীল কনটেন্ট প্রচারেই থেমে থাকেনি। তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে। এই মাধ্যমগুলোতে ছোট ক্লিপ আপলোড করে ব্যবহারকারীদের পুরো ভিডিও দেখার জন্য অ্যাপ ডাউনলোডে প্ররোচিত করা হয়েছে।
আরটিভি /এএ
অবশেষে বিয়ে না করার কারণ জানালেন মারজুক রাসেল
একাধারে তিনি গীতিকবি ও অভিনেতা। তিনি নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। নিজের রাজ্যেই তিনি যেন রাজা! নিজের মতো বলেন, লেখেন। নিজের মতো চলেন। তার নিজস্ব একটি ভাষা আছে। যা অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বলছি মারজুক রাসেলের কথা।
গীতিকবি ও অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত করে তরুণদের। সেইসঙ্গে তাকে নিয়ে অসংখ্য কৌতূহল ভক্তদের। এরমধ্যে অন্যতম তার চিরকুমার থাকার কারণ। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মারজুক। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
শুনেছি, জেরিন নামের এক তরুণীর সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। এরপর তিনি বিয়ে করে সংসারী হলেও আপনি হননি। এই প্রেমই কি আপনাকে সংসারবিবাগী করেছে? আপনার কি সংসারী হতে ইচ্ছা করে না?
সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে বরাবরের মতই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মারজুক বলেন, ওইটা একতরফা ছিল, আমার তরফে, ওয়ান-সাইডেড। কিশোরবেলায় প্রকৃতি আমারে দিয়া ওই পাগলামি করাইয়া নিছিল। দাম্পত্য জীবন আর সংসারজীবন এক নয়। একলাও সংসার করা যায়। কাজকর্মে, দূরে একলা থাকলেও আমি সংসারবিবাগী নই—নানু, মা, বোন, ভাইদের নিয়েই আমাদের সংসার। দাম্পত্যে জড়াইতে প্রথম চেষ্টা করছি ১৯৯৬ সালেই, ম্যাচ হয় নাই।―ম্যাচ না করলে, সামাজিক আইন মাইনা, জোর কইরা ম্যাচ করাইয়া আজীবন বা বিচ্ছেদের পূর্বাপর ‘ক্যাচক্যাচ, ঘ্যাচঘ্যাচ’ কইরা যাওয়ায় আমি আগ্রহী নই। ইংরেজি ‘ম্যাচমেকিং’ শব্দবন্ধটা এই ক্ষেত্রে স্মরণীয়। ‘ম্যাচ’ করে না!
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রাজনৈতিক স্যাটায়ারভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘৮৪০’। এতে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আরটিভি/এএ/এস
অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান আর নেই
অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শিল্পী সমিতির সাভপতি মিশা সওদাগর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অঞ্জনা রহমান টানা ১০ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই কদিন তিনি সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তার আশানুরূপ কোনো উন্নতি হয়নি। বরং অবস্থার অবনতি হয়। তাই বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
জানা গেছে,জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে অঞ্জনা অসুস্থ। শুরুতে তার জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে ৩০টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। এর মধ্যে ‘অশিক্ষিত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘আশার আলো’, ‘জিঞ্জির’, ‘আনারকলি’, ‘বিধাতা’, ‘বৌরানী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘মানা’, ‘রাম রহিম জন’, ‘সানাই’, ‘সোহাগ’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ও ‘অভিযান’ উল্লেখযোগ্য।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।