ডিপজলের সম্মানহানি করার কোনো অধিকার নেই নিপুণের: ঝন্টু
শিল্পী সমিতিতে ডিপজল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলে সুন্দর ভাবে দুটি বছর চলবে। ডিপজল যেন এখানে না থাকতে পারে সেই ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই জিনিসটা আমার দৃষ্টিতে শুভ না। ওর সম্মান ও অর্থ সবকিছুই আছে। সে এখানে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উন্নয়নের কথাই ভাববে। সে পাশ করেছে, নিপুণ গিয়ে কেস করেছে। আমার মনে হয় সে এটা না করলেও পারত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে নিপুণের রিট প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেছেন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
চার দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ৮৮টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। যা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে কোনো একক পরিচালকের সর্বাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করে নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতদূর জানি ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করেনি। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না কিছু পাবে। সবকিছু মেনে নিয়ে রিট করার মানে হয় না। নিপুণ মালা পড়িয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়েছিল। এটা তো দেখে ভালো লেগেছে। এখন ওর বিপক্ষে সমালোচনাই বেশি হবে।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে কটাক্ষ করেছেন ভোটে পরাজিত নিপুণ। এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ টেনে গুণী এই নির্মাতা বলেন, আমাদের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? ভারতে এরকম অনেকে এমপিই আছে। আমাদের এখানেও খুঁজলে বের হবে। লেখাপড়া করলেই যে রাজনীতি করে ভুল করবে সেটা না। কথাটা বলাটাই ঠিক না। ভোটাররা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ও ডিপজলকে ছোট করবে কেন? সে ছোট না। লেখাপাড়া জানার থেকেও ভালো ভালো কথা বলে। ডিপজল গঠনমূলক কথা বলে।
ডিপজলকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিপজল সারা দেশে একটা পরিচিত নাম। চলচ্চিত্রের একজন পরিচিত নাম। ডিপজলের বিরুদ্ধে যে কথাটা বলেছে সেটা তার বলা অপরাধ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি শব্দটা উচ্চারণ করলাম না। ডিপজলের সম্মানহানি করার তার (নিপুণের) কোনো অধিকার নেই। আমি নিপুণকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। তাকে আমি শিল্পী হিসেবে পছন্দ করি। আর ডিপজলকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি। সে মানুষের জন্য এগিয়ে আসে, উপকার করে। তার তুলনা হয় না।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী নিপুণকে হারিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর বিজয়ী সভপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় মালা পড়িয়ে বরণও করে নিয়েছিলেন ভোটে পরাজিত নিপুণ। তবে মাস গড়াতেই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট করেন এই নায়িকা। নিপুণের রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
মন্তব্য করুন