কমেডি করেই যত টাকার মালিক ব্রহ্মানন্দম
কাউকে কাঁদানো খুব সহজ হলেও হাসানোর কাজটা বেশ কঠিন। আর সেই কাজটি করেই দর্শকদের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা ব্রহ্মানন্দম। পাশাপাশি হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুধুমাত্র কমেডি করেই ভারতের নয় তারকা বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০২৪ সালে করা তালিকায় যার মধ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ব্রহ্মানন্দম। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে কপিল শর্মা (প্রায় ২৮০ কোটি টাকা) ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জনি লিভার (প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা)।
এর বাইরে আলি আসগরের রয়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা, কিকু শারদার ৩৩ কোটি, কৃষ্ণা অভিষেকের প্রায় ৩০ কোটি, ভারতী সিংয়ের প্রায় ২৩ কোটি ও সুনীল গ্রোভারের রয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকার সম্পদ।
মন্তব্য করুন
আরশ খানের সঙ্গে প্রেম-বিয়ের গুঞ্জনে মুখ খুললেন বৃষ্টি
বর্তমান সময়ের ব্যস্ততম অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি ও অভিনেতা আরশ খানের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন চলছে।বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বৃষ্টি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, অনেকে অনেক কিছুই লিখে থাকে। তবে আমাদের মধ্যে প্রেম বা সম্পর্ক কিছু নেই।
আরশের সঙ্গে শুধুই বন্ধুত্ব রয়েছে জানিয়ে বৃষ্টি বলেন, একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, দুজনের বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।
প্রসঙ্গত, ‘ঘাসফুল’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু বৃষ্টির। পরবর্তীতে ছোটপর্দায় নাটকে নিয়মিত হন তিনি। ‘লতিফ দপ্তরি’, ‘আইসিইউ’, ‘কাছের মানুষ’ ও ‘জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক’র মতো নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন এই অভিনেত্রী। শিগগিরই ‘চেয়েছিলাম’ নামের একটি নাটকে দেখা যাবে বৃষ্টিকে। এতে ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি।
বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে প্রেম, ভিডিও ফাঁসসহ নানান বিতর্কে অভিনেত্রী
দক্ষিণের জনপ্রিয় ও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হানসিকা মোতওয়ানি। খুব ছোটবেলাতেই শোবিজে পা রাখেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় দক্ষতা আর মিষ্টি হাসিতে দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রের জন্য যতটা প্রশংসিত তিনি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ততটাই সমালোচিত।
কখনও হরমোন ইনজেকশন নিয়ে, কখনও ভিডিও ফাঁসের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, এমনকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ে না তার।
২০০৭ সালে তেলেগু সিনেমা ‘দেশমুদুরু’-তে অভিনয়ের সময় হরমোনের ইনজেকশন নেওয়ার কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। শোনা যায়, দ্রুত যৌবন পাওয়ার আশায় ডার্মাটোলজিস্ট মায়ের কাছ থেকে হরমোন ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন হানসিকা।
২০০৬ সালে গোয়ায় হানসিকার বান্ধবী রিঙ্কি বাজাজের সঙ্গে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন সোহেল কাঠুরিয়া। তাদের বিয়েতেও হাজির ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু একটা সময়ে সেই বান্ধবীর সংসার ভেঙে তার স্বামীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিয়েও করেন সোহেল-হানসিকা।
শুধু তাই নয়, এমএমএস ফাঁস বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে একটি গোসলের ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। ভিডিওতে হানসিকাকে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও পরে হংসিকা নিজেই স্পষ্ট করেন, যে ভিডিওটি তার নয়। তার মতো দেখতে অন্য একজন মেয়ের।
২০২২ সালে তার সিনেমা ‘মহা’নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। সিনেমার পোস্টারে সাধ্বীর পোশাকে নেশা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এখানেই শেষ নয়, ‘আপকা শুরুর’সিনেমায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার চেয়ে ১৮ বছরের বড় অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে রোম্যান্সে লিপ্ত হয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হানসিকা।
প্রসঙ্গত, হিন্দি সিনেমায় খুব কমই কাজ করেছেন হানসিকা। তবে দক্ষিণী সিনেমার পরিচিত মুখ তিনি। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষায় ৬০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন হানসিকা।
অভিনেত্রীর অভিযোগ / নায়িকাদের পোশাক বদলানোর ভিডিও ধারণ হতো গোপন ক্যামেরায়!
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তামিল ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাধিকা শরৎকুমার। কেরালায় একটি সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সেই ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন রাধিকা। যেখানে তিনি জানান, মেকআপ ভ্যানের ভেতরে গোপন ক্যামেরা রাখা হতো। অভিনেত্রীরা নিজেদের পোশাক পরিবর্তন করলে সেটা সেই ক্যামেরায় রেকর্ড হতো।
রাধিকা বলেন, কেরালায় সিনেমার শুটিং করছিলাম। হঠাৎ দেখি শুটিং ফ্লোরের কিছু মানুষ কী একটা দেখে, ক্রমাগত হাসছে। একজন স্পটবয়কে ডেকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম বিষয়টা। সে আমাকে জানালেন, মেকআপ ভ্যানের ভেতর গোপন ক্যামেরা রয়েছে। নায়িকারা পোশাক বদলালেই ছবি, ভিডিও রেকর্ড হতো। আর এসবের একটা ডেটাবেসও রয়েছে। যেখানে নায়িকাদের নাম লিখলেই প্রকাশ্যে আসত সেই ভিডিওগুলো।
সেই গণমাধ্যমকে রাধিকা আরও বলেন, আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, আমাকে অবশ্যই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। যে কারণে তাদেরকে জানিয়ে দেই, আমার মেকআপ ভ্যানের প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে উত্তাল মালয়ালম চলচ্চিত্র জগত। অভিনেত্রীদের একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র জানান, মালয়ালাম পরিচালক রঞ্জিত অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছেন।
অভিনেত্রী জানান, সিনেমায় কাজের ব্যাপারে কথা বলতে তিনি রঞ্জিতের বাড়িতে যান। সেখানে ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তার হাতের চুড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এরপর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর মেনে নেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সম্প্রতি সেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে শ্রীলেখা সরব হতেই, একাধিক অভিনেত্রী মুখ খুলেছেন তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে।
আরিফিন শুভর সেই ১০ কাঠার প্লট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক আরিফিন শুভ। ২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। কেননা তিনি সেই চলচ্চিত্রটিতে এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করেছিলেন। তবে বিনিময়ে পেয়েছিলেন রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সংরক্ষিত কোটায় প্লট পান শুভ। সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারা অনুযায়ী, রাজউক এলাকায় নিজস্ব প্লট বা ফ্ল্যাট নেই এমন সংসদ সদস্য, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং যারা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন, তারা এ ধারায় প্লট পাবেন।
এ ধারা অনুযায়ী, বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুভকে এ প্লট চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয় রাজউক।
এ প্রসঙ্গে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংরক্ষিত কোটায় আরিফিন শুভকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।
শুভর প্লটের আইডি নম্বর-০১-৪০৩-০০৮ এবং কোড নম্বর-১৯০৮৯৯। রাজউকের বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারায় ১০ কাঠার এ প্লট বরাদ্দ পান অভিনেতা।
বছরের শুরুতে রাজউক সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালের ১৮তম বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর। এ বোর্ড সভাতেই অভিনেতা আরিফিন শুভর নামে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিনেতা আরিফিন শুভর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দিয়ে বরাদ্দের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
সে সময় রাজউক সূত্র আরও নিশ্চিত করেছিল, গত ৩১ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফিন শুভর নামে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বর্তমান ঠিকানায় চিঠি পাঠান।
তবে শুভ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন তখন। বলেছিলেন, মধ্যে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম। কিন্তু সেটা রাজউকের প্লট বরাদ্দ বা এমন কিছু নয়। যদি প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকি, তখন আমি নিজেই সবাইকে জানাব। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
ফেরদৌস, আরাফাত ও রিয়াজের চাঞ্চল্যকর কথোপকথন ফাঁস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।
এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ওই গ্রুপের বেশ কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে আন্দোলনকে ঘিরে কারা মানবতার বিপক্ষ শক্তি ছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কথোপকথনের সত্যতা জানতে ফেরদৌস এবং রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস, মুখ খুললেন জ্যোতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।
এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।
অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমিতো কিছু বলার অধিকার রাখি না।
শিল্পীদের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে যা পাওয়া গেল
বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বেশির ভাগ শোবিজ তারকা। তবে বিপরীতেও ছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী বেশ কজন তারকা এ আন্দোলনের সময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন। সে সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে।
‘আলো আসবেই’ নামক একটি চ্যাটগ্রুপে কজন শিল্পী ও সাংবাদিককে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে থেকে পাওয়া যায় অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, তারিন জাহান, তানভীর সুইটিসহ বেশ কজনের নাম।
সেখানে কজনের কথোপকথনে দেখা যায় একজন লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত ও শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা। এরপর বিপরীতে অরুণা বিশ্বাস উত্তরে বলেন, গরম জল দিলেই হবে।
অন্য একটি পোস্টে একজন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।
স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে অনেকেই অরুণা বিশ্বাসসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়াদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।
এ অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমি তো কিছু বলার অধিকার রাখি না।