সম্মাননা পাচ্ছেন শেখ সাদী খান
জন্মনাম তাবাররুক আহমেদ। অভিনয় জগতে পরিচিত বুলবুল আহমেদ নামে। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে এই মহানায়ক পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। এরপর তার স্মৃতি ধরে রাখতে ২০১৫ সালে গড়ে তোলা হয় ‘বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর প্রবীণ বরণীয় শিল্পীদের সম্মাননা দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ‘মহানায়ক বুলবুল আহমেদ স্মৃতি সম্মাননা’ পাচ্ছেন বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান।
এ বিষয়ে বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তার মেয়ে ঐন্দ্রিলা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সংস্কৃতিতে যাদের অবদান আছে, তাদের স্মরণ করেই প্রতিবছর বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে সম্মাননা জানিয়ে আসছি। শেখ সাদী খানের মতো গুণী মানুষকে সম্মাননা দিতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। শিগগিরই বাসায় গিয়ে সম্মাননা পদকটি তার হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
সম্মাননা প্রাপ্তির বিষয়ে শেখ সাদী বলেন, যেকোনো সম্মাননাই অনেক গৌরব এবং সম্মানের। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি, কিন্তু এ সম্মাননা আমাকে অন্যরকম আনন্দ দিয়েছে। বুলবুল আহমেদ সবার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। এমন একজন মানুষের স্মৃতি সম্মাননা পদক পেতে যাচ্ছি ভেবে ভালো লাগছে।
এর আগে এই সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা নাজমুল হুদা বাচ্চু, কেরামত মওলা, মিরানা জামান, এ টি এম শামসুজ্জামান ও সৈয়দ আব্দুল হাদী।
প্রসঙ্গত, আধুনিক বাংলা গান তথা চলচ্চিত্রের গান যে ক’জন সুরকার ও সংগীত পরিচালকের হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে, তাদের মধ্যে সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান অন্যতম। এই সুরস্রষ্টা উপহার দিয়েছেন ‘জীবন মানে যন্ত্রণা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙ্গাল’, ‘ওগো বিদেশিনি তোমার চেরি ফুল দাও’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘কাল সারারাত ছিল স্বপনেরও রাত’, ‘ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায়না’সহ আরও অসংখ্য কালজয়ী গান। গানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা।
মন্তব্য করুন