এই কোটা আসলে কাদের জন্য, প্রশ্ন সোহেল রানার
গত কয়েক দিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবেন না শিক্ষার্থীরা। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি শোবিজের তারকারাও চলমান ইস্যুতে সরব রয়েছেন। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে কথা বলে আসছেন প্রবীণ চিত্রনায়ক এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা।
অভিনেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পার হয়ে গেছে। যদি একজন ১২ বছর বয়সেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে তার বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব। তিনি অবশ্যই সরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে যাবেন না। যদি তার সন্তানের কথা চিন্তা করি, ২০ বছর বয়েসী কোনো যোদ্ধারও যদি ছেলে হয়, তার বয়স এখন ৪০-৪৫ বছর হবে। তিনিও অবশ্যই চাকরির পরীক্ষা দিতে যাবেন না। এই কোটা তাহলে আসলে কাদের জন্য?
এর আগে, সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অভিমত তুলে ধরেছিলেন সোহেল রানা। সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সাথে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার কারনের জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ ম্যারিটের গুণে তারা ভর্তি হবে পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি। সম্মান যখন নেই তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদেরকেও সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।
তিনি আরও লিখেছিলেন, সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কি করেছেন মুখে, মুখে? তাদের জন্য মায়া কান্না করেছেন ড্রেস থেকে শুরু করে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল আমরা সেটাই করেছি।সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক এটা দেশের সকলের দাবি।
প্রসঙ্গত, চলমান আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে ঢাকার উত্তরা, বাড্ডা ও সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে কয়েক শ’ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন