• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

কারফিউ থাকুক, এটা আমরা চাই না: সোহেল রানা

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৪:২৪
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে অনেক আগ থেকেই কথা বলেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হয় কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয়, তাহলে ওই সময়ের একজন মুক্তিযোদ্ধার বয়স হয় ৬৫। এ বয়সে কেউ আর চেষ্টা করেন না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হন না। তাদের সন্তানদের বাবার কারণে কোটা সিস্টেমে চাকরি ও ভর্তি হতে হবে, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম ও ভাঙচুর অনেক হয়েছে।

সোহেল রানা আরও বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আন্দোলনকারীরা জয়লাভ করেছেন। আদালতের রায়ে এটি প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনকালে তাদের নামে যে মামলা হয়েছে, সেটি এখন তুলে নেওয়া উচিত। যারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আহত কিংবা নিহত হয়েছেন, তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। শুধু মৌখিক সমবেদনা জানালে চলবে না। তাদের পরিবারের যদি একজন উপার্জনক্ষম সদস্য থাকেন, যদি তাদের পরিবার স্বচ্ছল না হয়, তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করা উচিত।

এই অভিনেতা বলেন, আন্দোলনের সময় দু’পক্ষের লোকজনই নিহত কিংবা আহত হন। আইনকে যারা ব্যবহার করেন, আর সেটা করতে গিয়ে যদি তারা আইনের অপপ্রয়োগ করেন, তার বিচার হওয়া দরকার। অনেক জায়গায় না হলেও একটা বিষয় আমরা এবার খেয়াল করেছি, তা হলো রংপুরে আবু সাঈদ নামে যে যুবকটি মারা গেছেন, তার পেছনে কোনো লোকজন ছিল না। তিনি খোলা হাতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যুবকটি পুলিশকে ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন- আমাকে গুলি কর। সেখানে একজন দারোগা তাকে গুলি করলেন! তাকে তো জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। ওই দারোগাকে জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। দেশে তো আইন আছে। এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। সে তদন্তে যারা প্রমাণিত হবে, তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার। সাঈদের বিষয়টি তদন্ত করার কিছু নেই। এটি তো প্রকাশ্যে হয়েছে।

সোহেল রানা বলেন, আমরা তো চাই, দেশ আবার আগের মতো সুন্দরভাবে চলুক। কারফিউ থাকুক, এটা আমরা চাই না। কারফিউ মানে নিজের ভাই প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর্মি নামানো তো শেষ পদক্ষেপ। আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখানে তারা একটি গুলিও ফোটায়নি। কাছে এসে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। টানা তিনদিন সাধারণ ছুটির পর আজ বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। এদিন বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অফিসগুলোর সার্বিক কার্যক্রম চলবে। এছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি, তালিকায় যে ৯২ পুলিশ কর্মকর্তা
রিকশার পাদানিতে গুলিবিদ্ধ নাফিজের মরদেহ, মামলা করলেন বাবা
আন্দোলন নিয়ে লেখা হায়দার হোসেনের গান যে কারণে প্রকাশ পায়নি
মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, পরিচয় মিলেছে সন্ত্রাসীদের