যে কারণে গান থেকে দূরে হায়দার হোসেন
হায়দার হোসেন মানেই যেন ব্যতিক্রমী কিছু। গানের কথা, সুর, গায়কী, সংগীত সবকিছুতেই ভিন্নতা। গানে গানে সমাজ, জীবন ও রাষ্ট্রের কথা বলা এই মানুষটি ভালো নেই। তার একটা হাত হাফ-প্যারালাইজড হয়ে গেছে।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবনমুখী গানের এই শিল্পী বলেন, এখন আর গিটার বাজাতে পারি না। আমার একটা হাত হাফ-প্যারালাইজড হয়ে গেছে। নতুন গানও বাঁধা হয় না। কেন বাঁধব? কোথায় দেব গান?
হায়দার হোসেন আরও বলেন, আমাদের গান তো প্রচার হয় না। গান করে বসে বসে শুনতে হবে নিজেকেই। আমার কাজ গান করা, মার্কেটিং নয়। তবু ইচ্ছা আছে, যদি আল্লাহ সুস্থ করেন, গান করব।
হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই শিল্পী। তখন তার হার্টে একটি রিং পরানো হয়।
এখন কেমন আছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ দুর্বল হয়ে গেছি। হাঁটতেও অসুবিধা হয়। চিকিৎসা চলছে। আর বয়সও তো হয়েছে। তবুও আল্লাহ ভরসা।
প্রসঙ্গত, হায়দার হোসেনের ‘তিরিশ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’, ‘চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার’, ‘শাড়ি’ কিংবা ‘আমি ফাইসা গেছি’র মতো গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফেরে। বলে বাস্তবতার কথা।
মন্তব্য করুন