• ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
logo

সরকারি বিনিয়োগ ছাড়া চলচ্চিত্রাঙ্গনে সংস্কার সম্ভব না: ইলিয়াস কাঞ্চন

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫০
ইলিয়াস কাঞ্চন
ইলিয়াস কাঞ্চন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার। যার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের যেন চাওয়ার অভাব নেই। আওয়াজ উঠেছে বিভিন্ন মাধ্যম সংস্কারের।

এদিকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশপাশি দিয়েছেন মতামতও। তাদের কথা শুনেছেন কামরুল ইসলাম ও হৃদয় সাহা।

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমূল সংস্কারের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রাঙ্গনে সরকারি বিনিয়োগ সবচেয়ে জরুরি। অর্থ ছাড়া এখানে কোনো সংস্কারই সম্ভব হবে না। বর্তমানে চলচ্চিত্র যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, এখান থেকে উত্তরণের জন্য যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

অভিনেতা আরও বলেন, প্রতিবছর ভোবে অনুদান দেওয়া হয়, এভাবে না দিয়ে একটা বড় অঙ্কের টাকা সরকার এখানে বিনিয়োগ করবে। সরকার ও ইন্ডাস্ট্রি দুই পক্ষের সমন্বয়ে এই বিনিয়োগ তত্ত্বাবধানে একটা কমিটি থাকবে। ওই অর্থ দিয়ে বছরে ৪০-৫০টি সিনেমা যেন বানানো যায়।

তিনি বলেন, নির্মাতা, শিল্পী এসব নির্বাচন করবে কমিটি। এই টাকা আবার ফেরতযোগ্য হতে হবে, যেন সিনেমা মুক্তির পর সেই অর্থ কোষাগারে ফিরে আসে। কমিটিতে যারা থাকবেন, তাদের বেতন দিয়ে রাখতে হবে। আর টাকাগুলো থাকবে ব্যাংকে, ফলে সেখান থেকেও লাভ আসবে। এটা করা গেলে চলচ্চিত্রের দিন বদলে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও প্রতিবছর অনুদান দিতে হবে না।

যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে হবে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে তাদের প্রভাব থাকে। যোগ্যতার মূল্যায়নে এখানে কাউকে নেওয়া হয় না। বহু আগে থেকেই এটা দেখে আসছি আমি। আগে তো চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো ছিল। সেই ভালো সময়ে এই সেন্সর বোর্ডের লোকেরা আমার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। দুর্নীতি সব জায়গায় আছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নষ্ট হয়ে যাওয়া জায়গাগুলো ঠিক করলেই তবেই উন্নয়ন হবে চলচ্চিত্রের।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব: প্রধান উপদেষ্টা
সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি: প্রধান উপদেষ্টা
ভারত-পাকিস্তানের কিছু ইস্যুতে সক্রিয় হচ্ছে না সার্ক: ড. ইউনূস
ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে স্থানান্তরের অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার