স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক ওস্তাদ মিহির লালা সাহা আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক ও শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ওস্তাদ মিহির লালা সাহা। আজ (১৭ আগস্ট) নিজ বাসায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৪।
দেশের একটি গণমাধ্যমে মিহির লালার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী নজরুল সংগীতশিল্পী জয়ন্তী লালা।
জানা গেছে, টানা ১৭ দিন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিহির লালা। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও গত ৮ আগস্ট চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
১৯৪১ সালে কক্সবাজারে জন্ম নেন মিহির লালা। তবে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে। তার বাবা আইনজীবী চন্দ্র বিনোদ লালা এবং মা কুলদাবালা লালা। আট ভাই-বোনের মধ্যে মিহির লালা ছিলেন তৃতীয়।
ওস্তাদ মিহির লালার স্ত্রী জয়ন্তী লালা নজরুল সংগীতশিল্পী। শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম দিয়ে থাকেন তিনিও। ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়ে চন্দ্রিমা লালা সংগীতে ডিগ্রি নিয়েছেন। তার ছেলে সুমন লালা একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী।
শৈশব থেকেই গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা মিহির লালার। ওস্তাদ আবু বক্কর সিদ্দিকীর কাছে তার সংগীতে হাতেখড়ি। এরপর তালিম নিয়েছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীত গুরুদের কাছে। সবশেষে পণ্ডিত বারীন মজুমদারের সান্নিধ্যে এসে হয়ে ওঠেন শাস্ত্রীয় সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে ‘প্রফেসর অব ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’ ডিগ্রি লাভ করেন মিহির লালা। মৃত্যুর আগপর্যন্ত উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষীয় সংগীত শিক্ষাকেন্দ্র ‘আর্য্য সংগীত সমিতি’ও ‘সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’–এ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই সংগীতশিল্পী
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি পদক প্রদান করা হয় তাকে।
মন্তব্য করুন