যে কারণে কনকচাঁপার প্রতি শাবনূরের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
দেশের জনপ্রিয় গায়িকা রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। যিনি কোকিলা কণ্ঠে আজও ভালোবাসার ডোরে বেঁধে রেখেছেন শ্রোতা-দর্শকদের।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। কনকচাঁপার গাওয়া ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই’, ‘আমার নাকেরই ফুল বলে রে’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’, ‘ভালোবাসা থাকো তুমি দূরে’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’সহ অনেক গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন শাবনূর। সেসব গানের অধিকাংশই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। পর্দার বাইরে ব্যক্তি জীবনেও মধুর সম্পর্ক রয়েছে শাবনূর ও কনকচাঁপার।
জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয় শিল্পী কনকচাঁপার সঙ্গে তোলা কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শাবনূর। সেখানে কনকচাঁপার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা।
ক্যাপশনে শাবনূর লিখেছেন, জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কনকচাঁপা আপু। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তোমার বিশাল অবদান রয়েছে। আমি তোমার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আল্লাহপাকের কাছে তোমার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই কণ্ঠশিল্পী চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে সমান পারদর্শী। ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম তিনি টিভিতে পারফর্ম করেন। একই বছর তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন কুঁড়ি’র চ্যাম্পিয়ন হন। তিনি টানা ৩ বছর ‘জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা’র চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন।
প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাওয়া এই গায়িকা এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্লে-ব্যাকের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে তার একাধিক একক ও যৌথ গানের অ্যালবাম।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে কনকচাঁপার। তিনি ‘স্থবির যাযাবর’ নামে একটি অটোবায়োগ্রাফি লিখেছেন, ২০১১ সালের অমর একুশে বইমেলায় এটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও ২০১২ সালে মুখোমুখি যুদ্ধ, মেঘের ডানায় চড়ে (২০১৬), কাঁটা ঘুড়ি (২০১৮), সেই পথে যাও (২০১৯), কাঁটা ঘুড়ি-২ (২০১৯) বইগুলো প্রকাশিত হয়।
চলচ্চিত্রে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন কনকচাঁপা। পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার, দর্শক ফোরাম পুরস্কার, প্রযোজক সমিতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।
আরটিভি/এইচএসকে/এসএ
মন্তব্য করুন