• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

আমি স্পষ্টভাবে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে ছাত্র হত্যার বিচার চেয়েছি: নাসিম

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১৮
সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামীপন্থী তারকাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার শিল্পীদের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় ওই গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা। যেখানে অরুণা বিশ্বাস, সাজু খাদেম, জ্যোতিকা জ্যোতিসহ আরও অনেকের বক্তব্য ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। ফাঁস হওয়া ওই গ্রুপে ছিলেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানসহ সংগঠনটির অনেকে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নাসিম ও রওনক। অনেকে তাদের পদত্যাগ করার দাবিও তুলেছেন।

এরই প্রেক্ষিতে নাসিম বলেন, ‘পদত্যাগ চাইলে আমরা পদত্যাগ করব। এখানে আঁকড়ে ধরার কিছু নেই। আমরা সংগঠন থেকে কাজ করেছি, এখন কেউ যদি অসন্তোষ হন, কারও যদি ক্ষোভ থাকে—কেউ কেউ বলছেন সংস্কার প্রয়োজন আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে অতি দ্রুতই আমরা একটা সাধারণ সভা ডাকছি, সেখানে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।’

ওই গ্রুপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেককে যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে নাসিম আরও বললেন, ‘এখানে তো কেউ স্বেচ্ছায় যুক্ত হয়নি, কারও কাছে নাম্বার থাকলেই কেউ কাউকে যুক্ত করে দেয়। ফেসবুকে যেমন ধরেন আপনাকে এড রিকোয়েস্ট পাঠালাম, আপনি অ্যাকসেপ্ট করলেন। মানে এটা আপনি জেনে-বুঝে অ্যাকসেপ্ট করেছেন। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে তো ইচ্ছে করলেই কাউকে এড করে ফেলা যায়।’

আন্দোলন চলাকালে অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্যদের অবস্থান তুলে ধরে এই অভিনেতা জানান, সেদিন তারা স্থাপনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে, মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘এই গ্রুপটা খোলা হয়েছে ৩১ জুলাই। সেখানে জানানো হয় তারা সকালে ১ আগস্ট বিটিভিতে যাবে। তবে আমি সেটার বিরোধিতা করি, আমার সঙ্গে রওনকও ছিল। আমরা মানবতার পক্ষে না গিয়ে, স্থাপনার পক্ষে দাঁড়াতে পারি না। যে কারণে আমরা বলেছিলাম, আগে হাসপাতালে আহত যারা আছেন তাদের দেখতে যাব এবং যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে যাব। তো উনারা এটা আমলে নেননি, উনারা চলে গিয়েছিলেন বিটিভিতে, এদিকে আমরা চলে যাই ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে।

তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, উনাদের মধ্যে থেকে দুই-তিনজন এসে আমাদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। যাতে করে অনেকেই ভেবেছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কর্মসূচির সম্পৃক্ততা আছে। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, ওই টিমের সঙ্গে মামুন ভাই, আমি বা রওনক বা আমাদের অন্যান্য শিল্পীদের দেখা যায়নি। নির্দিষ্ট করে যারা দলীয় (আওয়ামী লীগ) কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তারাই সেখানে গিয়েছিলেন।

আমি স্পষ্টভাবে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে ছাত্র হত্যার বিচার চেয়েছি, আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এরপর আলো আসবেই গ্রুপের কোনো কার্যক্রমে আমি ছিলাম না।’

প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের দুই সদস্য সাজু খাদেম ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পক্ষে উসকানি এবং শোবিজের অন্যান্য সোচ্চার তারকাদের পোস্ট কিংবা তথ্য পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

আরটিভি /এএ-টি

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কক্সবাজারে নারীকে কান ধরানোর ঘটনায় তারকাদের প্রতিবাদ
বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই: সোহানা সাবা
ভাঙা হয়েছে প্রাচীর, খুলে ফেলা হয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘের প্লটের সাইনবোর্ড
‘আলো আসবেই’ গ্রুপ নিয়ে এক অভিনেতাকে আরেক অভিনেতার হুমকি