যে কারণে এখনই দেশে ফিরছেন না জায়েদ খান
বর্তমানে সিনেমার পর্দায় ঝলক না দেখালেও স্টেজ শো করে দর্শক মাতাচ্ছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খানের। বিশেষ করে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। গত ২৮ জুন থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন জায়েদ। এখনই নাকি দেশে ফিরবেন না তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে দেশে না ফেরার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন জায়েদ। পাশাপাশি অভিনেতার নামে হওয়া মামলা নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেতা।
সরকার পতনের পর অনেকের নামেই মামলা হয়েছে। বাদ যাননি তারকারাও। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, অভিনেতা-উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়সহ যে ৫৬ জনের নামে যে মামলা হয়েছে, সেখানে জায়েদের নামও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, আমি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে জড়িত নই। কোনো দুর্নীতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রায় মাস খানেক আগে থেকে আমি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সর্বশেষ আমেরিকার শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শো করে মানুষকে বিনোদিত করেছি। একজন বিনোদনকর্মী হিসেবে এটাই আমাদের কাজ। আমি সেটাই করেছি।
বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে রয়েছেন জায়েদ। অভিনেতার পরবর্তী গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। সেখানকার শো শেষ করেই দেশে ফিরবেন কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে এখনও আমার কিছু শো বাকি আছে। সেসব শেষ করেই ফিরব। আশা করি দেশে ফিরলে কোনো হয়রানির মুখে পড়তে হবে না।
চিত্রনায়ক আরও বলেন, আমরা শিল্পী। কারও সঙ্গে কখনো অন্যায় করিনি, কারও কোনো ক্ষতি করিনি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমাকেও সবাই ভালোবাসেন। আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূস সাহেব। তিনি ছাত্রদের নিয়ে দেশ সংস্কারের কাজ করছেন। আমার বিশ্বাস, এসব ভিত্তিহীন মামলার বিষয়েও তিনি দেখবেন।
মামলা প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আমি নাকি ২০১৫ সালে হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি। সেই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। পুরোপুরি মিথ্যা মামলা, কোনা ভিত্তিই নাই। আমি দেশের একজন শিল্পী। বাংলাদেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। হতে পারে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী। এ জন্য তো কেউ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারে না।
আরটিভি/এইচএসকে
মন্তব্য করুন