গুলিবিদ্ধ হয়ে আইসিইউতে অভিনেতা গোবিন্দ
নিজের রিভলভারের গুলিতে-ই আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ অভিনেতা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দের ম্যানেজার শশী সিংহ আনন্দবাজারকে জানান, কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ব্যক্তিগত পিস্তলটি রাখতে গেলে সেটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি বের হয়ে যায়। এতে গোবিন্দের পায়ে গুলি লাগে।
প্রসঙ্গত, পায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আপাতত আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন গোবিন্দ। চিকিৎসকদের এক বিশেষ দল তার চিকিৎসা করছেন।
আরটিভি / এএ
মন্তব্য করুন
আরিফিন শুভর সেই ১০ কাঠার প্লট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক আরিফিন শুভ। ২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। কেননা তিনি সেই চলচ্চিত্রটিতে এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করেছিলেন। তবে বিনিময়ে পেয়েছিলেন রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সংরক্ষিত কোটায় প্লট পান শুভ। সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারা অনুযায়ী, রাজউক এলাকায় নিজস্ব প্লট বা ফ্ল্যাট নেই এমন সংসদ সদস্য, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং যারা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন, তারা এ ধারায় প্লট পাবেন।
এ ধারা অনুযায়ী, বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুভকে এ প্লট চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয় রাজউক।
এ প্রসঙ্গে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংরক্ষিত কোটায় আরিফিন শুভকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।
শুভর প্লটের আইডি নম্বর-০১-৪০৩-০০৮ এবং কোড নম্বর-১৯০৮৯৯। রাজউকের বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারায় ১০ কাঠার এ প্লট বরাদ্দ পান অভিনেতা।
বছরের শুরুতে রাজউক সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালের ১৮তম বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর। এ বোর্ড সভাতেই অভিনেতা আরিফিন শুভর নামে ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিনেতা আরিফিন শুভর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দিয়ে বরাদ্দের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
সে সময় রাজউক সূত্র আরও নিশ্চিত করেছিল, গত ৩১ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফিন শুভর নামে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বর্তমান ঠিকানায় চিঠি পাঠান।
তবে শুভ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন তখন। বলেছিলেন, মধ্যে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম। কিন্তু সেটা রাজউকের প্লট বরাদ্দ বা এমন কিছু নয়। যদি প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকি, তখন আমি নিজেই সবাইকে জানাব। এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।
ফেরদৌস, আরাফাত ও রিয়াজের চাঞ্চল্যকর কথোপকথন ফাঁস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।
এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকেই।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ওই গ্রুপের বেশ কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে আন্দোলনকে ঘিরে কারা মানবতার বিপক্ষ শক্তি ছিল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কথোপকথনের সত্যতা জানতে ফেরদৌস এবং রিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস, মুখ খুললেন জ্যোতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। যাদের মধ্যে কেউ ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। অন্য দল আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে। নেটমাধ্যমে সরব ছিলেন দুটি দলই।
এদের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সক্রিয় ছিল এই দলটি। আর সেই পরিকল্পনা থেকেই ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিলেন তারা। যেখানে আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে চলতো কথোপকথন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন শোবিজেরই কয়েকজন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের ফেরদৌস-আরাফাত-রিয়াজের কিছু চাঞ্চল্যকর কথোপকথনও রয়েছে, যা শিউরে ওঠার মতো।
এর মধ্যে একজনকে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলতেও শোনা যায়। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। পাশাপাশি শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।
অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমিতো কিছু বলার অধিকার রাখি না।
শিল্পীদের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে যা পাওয়া গেল
বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বেশির ভাগ শোবিজ তারকা। তবে বিপরীতেও ছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী বেশ কজন তারকা এ আন্দোলনের সময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন। সে সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে।
‘আলো আসবেই’ নামক একটি চ্যাটগ্রুপে কজন শিল্পী ও সাংবাদিককে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে থেকে পাওয়া যায় অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, তারিন জাহান, তানভীর সুইটিসহ বেশ কজনের নাম।
সেখানে কজনের কথোপকথনে দেখা যায় একজন লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত ও শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা। এরপর বিপরীতে অরুণা বিশ্বাস উত্তরে বলেন, গরম জল দিলেই হবে।
অন্য একটি পোস্টে একজন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।
স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে অনেকেই অরুণা বিশ্বাসসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়াদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে সেই গ্রুপের অন্যতম সদস্য অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের এমন একটি গ্রুপ ছিল, এটা সত্য। সেখানে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার বিষয় নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে বিষয়টি খারাপ লেগেছে যে, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ আগুন দেয়? সেখানে তো আমার-আপনার পরিবারের সদস্যরাই জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে।
এ অভিনেত্রী বলেন, আপনি হয়তো দেখেছেন, আমি কিন্তু কোনো ছাত্রদের দায়ী করিনি হাসপাতালে আগুন দেওয়ার ঘটনায়। আর এ-ও বলতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে হয়তো আমরা অনেকে ছিলাম। কিন্তু সবার মনমানসিকতা এক না। শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা কারও প্রত্যাশার নয়। এটা অমানবিক। তবে অন্যের ভাবনা নিয়ে আমি তো কিছু বলার অধিকার রাখি না।
ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়ানোর বিষয়ে মুখ খুললেন নায়িকা মিতু
দেশের একটি পত্রিকার ডিজিটাল মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আসতেন চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। তবে এ কথা অস্বীকার করেছেন এই উঠতি অভিনয়শিল্পী। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন যে তাকে নিয়ে যে ভিডিও সংবাদ হয়েছে, তা মূলত ভিউ বাণিজ্যের জন্য।
এক ফেসবুক পোস্টে জাহারা মিতু বলেন, ডিজিটাল যুগে সবকিছুর রেকর্ড থাকে। আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ যেমন থাকবে, আমি কোথাও গেলে সেটারও রেকর্ড থাকবে। কললিস্টেরও রেকর্ড থাকে। এসব বুঝেশুনে নিউজ করতে হয়।
এই চিত্রনায়িকা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ একজন মন্ত্রীকে প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর নিউজ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ সবজি সেবনের ফলেই লেখা যায়। এর থেকে হাস্যকর নিউজ আমি বাপের জন্মে দেখিনি। সত্যিই দেখিনি। এতো হেসেছি আমি নিজে, মানুষ আর কতোটুকু হাসবে। কোনো সোর্স নেই, আমার বক্তব্য নেই, কোনো প্রমাণ নেই আর আমার নাম ডিরেক্ট লিখে দিলেন।
এটিকে ভিউ বাণিজ্য উল্লেখ করে বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে ভিউ বলে, ভিউ বাণিজ্যে এতোটা নিচে নামলেন। একটাবার ভাবলেন না, মেয়েটা আসলেই কোনোদিন ওই ভাইয়ের সাথে একা দেখা করেছে কিনা?? খবর নিয়ে দেখেন ভাইয়েরা। এটুক একটু বের করেন প্লিজ। নিজেদের সাংবাদিক দাবি করেন? সত্যিই দাবি করেন? আজ থেকে আর কইরেন না। আমি চুপচাপ আমার মতো থাকি, থাকতে দেন। কবি তো নিরবই ছিল, মুখটা খুলাইলেন ক্যান।
তবে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাহারা মিতুর সখ্যতা ছিল এটা সকলেই জানেন। বইমেলায় ব্যস্ততা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদের নায়িকার কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে যান। ওই ভিডিও সংবাদে এমনটাই বলা হয়েছে- একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে কিছু চিত্র।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে জাহারা মিতু বলেন, ভাইরে আমার কোনো পুরুষকে ভালো লাগে না, আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। অনেক ইন্টার্ভিউতে বলেছি আমার থেকে একদিনের বড় কোনো ছেলেকেও আমার ভালো লাগে না। গত সাড়ে তিন বছর আগে এমন এক ধোঁকাবাজের সাথে সম্পর্ক ভেঙেছি যে, এরপর সম্পর্ক জিনিষটাই আমার প্যারা মনে হয়।
তিনি বলেন, আপনাদের অত্যাচারে মনে হচ্ছে একটা প্রেম করে প্রেমিক সামনে আনতেই হবে, তাহলে যদি আপনাদের একটু মনের আনচান ভাব কমে আরকি। তখন আর আবোল তাবোল প্রেম কাহিনি বানানো লাগবে না।
জাহারা মিতু দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন উপস্থাপনা থেকে। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও মূলত শাকিব খানের সঙ্গে আগুন ও কলকাতার দেবের সঙ্গে কমান্ডোতে স্ক্রিন শেয়ার করে আলোচনায় আসেন। তবে এইউ নায়িকার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য দুটি ছবি মুক্তি পায়নি। দেবের কমান্ডো কোনোভাবেই আর মুক্তি পাবে না, কারণ এর প্রযোজক সেলিম খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস, অরুণাকে যা বললেন পরীমণি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন শোবিজের একদল তারকাশিল্পী। কথা বলেছেন, বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) নানা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আবার একদল শিল্পী ছিলেন নীরব ভূমিকায়। তারা দলীয় (আওয়ামী লীগ) ট্যাগে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। অবস্থান নিয়েছিলেন সরকারের পক্ষে। খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও।
সম্প্রতি সেই গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। তার মধ্যে একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার কথা বলেছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।
এদিকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসের ‘গরম জল দিলেই হবে’ কথায় ঘৃণা উগড়ে দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
অরুণাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদের ফটোকার্ড শেয়ার করে নিজের ফেসবুক পেইজে পরী লিখেছেন, ‘অমানুষ! হিংস্র! লোভী! এত হিংসা নিয়ে কখনই শিল্পী পরিচয় বহন করতে পারেন না আপনি। ধিক আপনাকে। থু...।’
মুহূর্তেই পরীমণির এই মন্তব্য সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তার পোস্টের কমেন্ট বক্সে নাসরিন পারভীন নামে একজন লিখেছেন, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
জাহিদ হাসান লিখেছেন, এরা যে কবে মানুষ হবে।
সুজন মাহামুদ খান লিখেছেন, এ জন্যই তোমাকে ভালোবাসি পরী।
তাহসান হাসিব নামে আরেকজন লিখেছেন, ওনাকে আইনের আওতায় এনে গরম পানি দেওয়া হোক।
‘আলো আসবেই’-এর মতো আরও একটি গোপন গ্রুপ আছে: মনিরা মিঠু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে বিপক্ষ দলটি ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। সম্প্রতি সেই গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
এ অবস্থায় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেটি আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
মনিরা মিঠু লিখেছেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের মতো একটি গোপন গ্রুপ আছে। সেখানে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে, শিল্প ও শিল্পীর ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। প্রায় ৮ মাস আগে বিঞ্জের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের সময় ডা. এজাজ ভাই, আমি, শামিম আহমেদ, আমরা— অনেকেই একটা খুবই স্বাভাবিক হাস্যোজ্বল ভিডিও করি এবং সেটা আমার পেজে আপলোড দিই। সেই ভিডিওর ভিউ হয় মিলিয়নের ওপরে।
কারণ এজাজ ভাই আর আমাকে দর্শক কানেক্টেড করতে পারে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটকের সঙ্গে। আমাদের শিল্পী সংঘ থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয় সেই ভিডিওটি ডিলিট করে ফেলার জন্য। আমি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন? একজন বললেন যে শিল্পী সংঘের সেক্রেটারি নাজনীন হাসান চুমকির নাকি সারারাত ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল যে, কীভাবে আমি এই অশ্লীল ভিডিও আপলোড দিলাম। কারণ ভিডিওর এক জায়গায় ডা. এজাজ ভাই কমলা খাচ্ছিলেন আর ‘বিচি’ শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন ।
অ্যাক্টর ইকুইটির সেই গোপন গ্রুপের একজন সদস্য আমাকে কিছু স্ক্রিনশট পাঠান আমি যেন দ্রুত ভিডিওটি ডিলিট করি।
স্ক্রিনশটে দেখি সুজাত শিমুল আমাকে তুমুল গালাগাল করছেন। সারাজীবন মনে থাকবে সুজাত শিমুলের এই লাইনটি— এরা শিল্পী নামের বিষ্ঠা। মানে আমি আর কি। তিনি কবিতার মতো আরও অনেক গালাগাল দিয়েছিলেন আমাকে সেই গোপন গ্রুপে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে, শিল্পী সংঘের কোনো সিনিয়র সদস্য সুজাত শিমুলকে বলেন নাই যে, একটি ভিডিওর জন্য মিঠু আপাকে এইভাবে গালাগাল করছ কেন? নাজনীন হাসান চুমকি তো আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারতেন যে, মিঠু আপা ভিডিওটি শ্রুতিমধুর না, মুছে ফেলেন । কারণ, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের বিবাদ ছিল না।
শিল্পী সংঘের খুবই কনিষ্ঠ একজন সদস্য আমাকে সেই গোপন গ্রুপের স্ক্রিনশট পাঠিয়েছিলেন। আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটির কমেন্ট চেক করি, দেখলাম কোথাও আমার পেজের দর্শক এই ‘বিচি’ শব্দটির সঙ্গে কানেক্ট হননি। হয়তো বা আমার ও ডাক্তার এজাজ ভাইয়ের ভক্তদের ‘কান’ শিল্পী সংঘের উচ্চপদস্থ পদ পাওয়া সদস্যদের ‘কান’-এর মত এতো অশ্লীল নয়, এত হিংসাত্মক নয়। আমি কিন্তু সেই ভিডিওটি ডিলিট করেছিলাম অপমানে, ঘৃণায়, লজ্জায়। কিন্তু আমি ভীষণ বোকা, সেই ভিডিওটি ডিলিট না করলে আমি অনেক টাকা পেতাম । কারণ সেই সময়ে আমি নিয়মিত পেজে ভিডিও দিতাম এবং সেটা আমার একটা আয়ের উৎস ছিল। কিন্তু আমার বিজ্ঞ আদালত সুজাত শিমুলের ফাঁসির আদেশ আর নাজনীন হাসান না ঘুমিয়ে স্ট্রোক করতে পারেন এই লজ্জায় আমি প্রায় ভিডিও দেওয়া বন্ধ করে দেই।
এদিকে, পোস্টটি করার কিছুক্ষণ পর মনিরা মিঠুর ফেসবুকে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রী নিজে থেকেই মুছে দিয়েছেন কি না, তা জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, পোস্টটি তিনি মুছে দেননি এবং নিজেও বুঝতে পারছেন না তার ওই পোস্ট বারবার ডিলিট হওয়ার কারণ কি!