গুলিবিদ্ধ হয়ে আইসিইউতে অভিনেতা গোবিন্দ
নিজের রিভলভারের গুলিতে-ই আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ অভিনেতা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দের ম্যানেজার শশী সিংহ আনন্দবাজারকে জানান, কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ব্যক্তিগত পিস্তলটি রাখতে গেলে সেটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি বের হয়ে যায়। এতে গোবিন্দের পায়ে গুলি লাগে।
প্রসঙ্গত, পায়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আপাতত আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন গোবিন্দ। চিকিৎসকদের এক বিশেষ দল তার চিকিৎসা করছেন।
আরটিভি / এএ
মন্তব্য করুন
এক পরিবারের ৯ জনের ‘আত্মহত্যা’, শুটিং করতে গিয়ে জ্ঞান হারান ফারিণ
আজ থেকে ১৭ বছর আগে ময়মনসিংহ পৌরসভার কাশর এলাকার ইটখলায় রেললাইনে একটি পরিবারের ৯ সদস্য ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন। আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে চিত্রনাট্যে তুলে আনেন পরিচালক ভিকি জাহেদ। গেল তিন বছর ধরে দৃশ্যধারণসহ নানা কাজ সেরেছেন তিনি, কিন্তু কাজ শেষ করতে পারছিলেন না। বহু বাধা পেরিয়ে এবার সেই চিত্রনাট্যের সিরিজ আলোর মুখ দেখতে চলেছে।
আগামী ১০ অক্টোবর দেশের একটি ওটিটি প্লাটফর্মে দেখা যাবে সেই আলোচিত ঘটনা নিয়ে তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘চক্র’। এ সিরিজে কাজ করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তাসনিয়া ফারিণ।
ফারিণ বলেন, ‘এ কাজটি করার সময় বেশকিছু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। একপর্যায়ে মনে প্রশ্ন জাগে—কাজটি করা আমার ঠিক হচ্ছে কি না? এরপর অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে চক্র আসছে। এটাই আনন্দের। তবে কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আমি বলব—এ সিরিজের শুটিংয়ে আমাদের সবারই কমবেশি বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন আমরা যেখানে বা যেই হাউসটিতে শুটিং করি, সেখানে প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিনই আমার ভেতরে নেগেটিভ কিছু বিষয় উপলব্ধি হয়।’
এরপর বলেন, ‘শুটিং চলাকালীন আমি একবার কারণ ছাড়াই অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমাদের নির্মাতা ভিকি ভাইয়ার পা ভেঙে যায়। তারপর শুটিং চলাকালীন আমি প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকি। তারপর আমাদের শুটিং ইউনিটের অনেকেই কারণ ছাড়া আমাদের সেট থেকে চলে যাচ্ছিলেন, যেটির ব্যাখ্যা আসলে আমরা এখনও পাইনি। তবে কাজটি অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে, এটাই আনন্দের। তাই শুটিংয়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে এখন আর খুব বেশি কথা বলতে চাই না। সবশেষ আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ, চক্র ওয়েব সিরিজটি দেখবেন। কারণ এ কাজটি আমরা অনেক পরিশ্রম করে করেছি, যা বোঝার জন্য অবশ্যই এটি দেখতে হবে। আশা করি হতাশ হবেন না।’
সিরিজটিতে প্রধান দুই চরিত্রে আছেন তাসনিয়া ফারিণ ও তৌসিফ মাহবুব। এতে আরও অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী, মারশিয়া শাওন, একে আজাদ সেতু, মাসুদুল মাহমুদ রোহান প্রমুখ।
আরটিভি /এএ/এআর
লাইফ সাপোর্টে স্বামী, দোয়া চাইলেন তনি
দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন অসুস্থ হয়ে একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তনি নিজেই।
যেখানে তিনি লিখেছেন, আমার হাসবেন্ডের আপডেট- এখনও তেমন রেসপন্স করছে না, আজকে সকালে আমি অনেকবার ডেকেছি চোখ খুলে নাই। লাইফ সাপোর্টে আছে, চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। একটু স্টেবল হলে দেশের বাইরে নেয়ার কথা চলছে।
তনি আরও জানান, আমি হাসপাতালে আছি, সানভী সারফারাজ বাসায় আমার মায়ের সাথে আছে। সারফারাজ কিছুই বোঝে না ছোট বাচ্চা, সে শুধু এতটুকু ফিল করতে পেরেছে তার ড্যাডির কিছু হয়েছে, ছেলেটারও জ্বর।
সবশেষে তনি বলেন, ‘আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আমার হাসবেন্ডের খবর নিতে কল বা টেক্সট দিচ্ছেন সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থাতে নেই। আল্লাহ ছাড়া এই বিপদ থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবে না, সবাই আমাদের সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আমার হাসবেন্ডের জন্য দোয়া করবেন।’
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়সই কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এ সবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।
আরটিভি /এএ / এএইচ
‘আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না’
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠোঁট কাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ সুপরিচিত আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন তার পোশাকের ব্যবসা নিয়েই। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।
তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানালেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তনি। কারণ, বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যদিও কি অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি। দু-দিন আগে তনি লিখেছিলেন, ‘(আমার স্বামীর আপডেট) এখনও তেমন রেসপন্স করছে না। আজকে সকালে আমি অনেকবার ডেকেছি চোখ খোলে নি। লাইফ সাপোর্টে আছে, ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন।’
তনি আরও লিখেছিলেন, ‘একটু স্টেবল হলে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা চলছে। আমি কথা বলার মত মানসিক অবস্থাতে নেই। আমার হাসবেন্ডের জন্য দোয়া করবেন।’
এরপর, আরও এক আপডেট জানালেন তনি। জানা গেল, অবশেষে দেশের বাইরেই চিকিৎসার জন্য নেওয়া হল তার স্বামীকে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তনি লেখেন, ‘জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করছি, আমি কোনো ভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সবকিছু অনিশ্চিত জেনেও আল্লাহর বিশেষ কোনো রহমতের আশায় অনেক কষ্ট করে আজকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আনিয়ে তারপর ব্যাংকক নিয়ে আসছি। আমার জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা। সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য হলেও আল্লাহ যেন তাকে বাঁচিয়ে রাখে।’
রুবিয়াত ফাতিমা তনির এমন খারাপ সময়ে অনুরাগীদের পাশাপাশি প্রার্থনা করছে দেশের শোবিজ অঙ্গন। প্রার্থনা প্রকাশ করতে দেখা যায় ঢাকাই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। এছাড়াও উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার জয়, অভিনেত্রী মনিরা মিঠুসহ আরও অনেকেই তনির জন্য প্রার্থনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়সই কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এ সবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।
আরটিভি/এএ
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে স্বামীকে ব্যাংকক নিয়ে গেলেন তনি
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি ছিলেন নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বামীকে ব্যাংককে নিয়ে গেছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে খবরটি নিজেই জানিয়েছেন তনি। ক্যাপশনে নারী উদ্যোক্তা লিখেছেন, ‘জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করছি, আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সবকিছু অনিশ্চিত জেনেও আল্লাহর বিশেষ কোনো রহমতের আশায় অনেক কষ্ট করে আজকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আনিয়ে তারপর ব্যাংকক নিয়ে আসছি।’
এদিকে তনির স্বামীর এমন অসুস্থতার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা। মন্তব্যের ঘরে শাহাদাতের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সবাই।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। শাহাদাৎ তার দ্বিতীয় স্বামী। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে প্রায়ই নেটদুনিয়ায় বিভিন্ন কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাদের। এসব নিয়ে অবশ্য কথাও বলেছেন তিনি। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পর ভালোবেসে শাহাদাতকে বিয়ে করেন তনি।
আরটিভি/এইচএসকে
অবশেষে তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব
ব্যক্তিগত জীবনে দুইবার ঘর বেঁধেছিলেন ঢালিউড চিত্রনায়ক শাকিব খান। কিন্তু সংসার জীবনে একবারও স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। প্রথমে ভালোবেসে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। আব্রাহাম খান জয় নামে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের সেই সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।
অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব। এখানেও থিতু হতে পারেননি তিনি। এ সংসারেও শেহজাদ খান বীর নামে আরেকটি পুত্র সন্তান রয়েছে তার।
প্রেম-বিয়ে-সংসার নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন শাকিব। মাঝে তৃতীয় বিয়ে নিয়েও গুঞ্জন উঠেছিল অভিনেতার। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রাক্তন দুই স্ত্রী-সন্তান ও তৃতীয় বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন শাকিব।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তারা আঘাত তো দিয়েছেই, কোনো ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো সেটুকুই হওয়ার ছিল। ‘লাইফ ইজ আ জার্নি’— এই যাত্রায় অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দুইজন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তারা থাকুক। এসব নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্য হয়েছে।
শাকিব আরও বলেন, আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এবং দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভালোবাসার মানুষ রয়েছেন, যারা আমাকে অঢেল ভালোবাসা দেন, তাদেরকে নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
এ সময় শাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে? পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি আবারও সংসার জীবনে দেখা যাবে শাকিবকে? হবেন? জবাবে চিত্রনায়ক বলেন, মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার, সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়া নেই যে, নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মার যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।
দুই ছেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ওরা এখনও অনেক ছোট। বুঝতে শেখেনি। ওরা স্কুলে যাচ্ছে, লেখাপড়া করছে। বাবা হিসেবে আমি ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। আমি চাই ওরা আমার চেয়েও অনেক বড় হোক। ওদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্য যা যা করতে হয় বাবা হিসেবে আমি করে যাব।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
‘আপনি একটা ইহুদি যোগাযোগমাধ্যমে আসছেন হিন্দু-মুসলিম নিয়া’
দেশের সংগীতাঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ক্যাসেট-সিডির আমলে অডিওতে রাজত্ব করা এই শিল্পী এখনও বেশ দাপুটে। তার মতো করেই গান প্রকাশ করে চলছেন। তৈরি করে নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তার গাওয়া গানের অডিও-ভিডিও সবই পাওয়া যায়।
গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব আসিফ আকবর। প্রায় সময়ই নানা ইস্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে থাকনে। সেই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ আকবর লেখেন, সনাতন ধর্ম অনুসারী সব ভাই-বোন, বন্ধুদের জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। আমাদের প্রত্যাশা ভালোবাসাময় বাংলাদেশ। ভালোবাসা অবিরাম।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন প্রশ্ন করেন, আপনি একজন মুসলিম হয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আসিফ আকবর তার প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে একটু বিরক্তের সুরে বলেন, আর আপনি একটা ইহুদি যোগাযোগমাধ্যমে আসছেন হিন্দু-মুসলিম নিয়া। মূর্খ অপদার্থদের প্রজনন বৃদ্ধিতে বিরক্ত বাংলাদেশ।
কমেন্ট বক্সে সানোয়ার হোসেন নামে আরেক ভক্তের ভাষ্য, জি ভাইয়া অনেক সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ আপনাকে। এদেশ একটি পরিবার, আমরা সবাই এই পরিবারের সদস্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা মিলেমিশে দেশে বসবাস করতে চাই। ধর্ম যার যার উৎসব তার তার।
আরটিভি /এএ/এসএ
কথা বলতে পারছেন না গায়িকা ও উদ্যোক্তা বর্ষা চৌধুরী, শঙ্কিত পরিবার
গায়িকা বর্ষা চৌধুরীর অনেক পরিচয়—উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলে প্রায়ই আলোচনায় আসেন তিনি। অনেক দর্শক এমনও মন্তব্য করেন, বর্ষা চৌধুরীর জীবনের নানা চড়াই-উতরাই হার মানায় সিনেমার গল্পকেও।
বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন বর্ষা চৌধুরী। এর মধ্যে এক সন্তানের বয়স তখন সবে দেড় মাস। অন্যদিকে বর্ষার সঙ্গে রুমিরও দ্বিতীয় সংসার এটি। দ্বিতীয় স্বামীকে হারানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন বর্ষা। কিন্তু হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে চলতি বছরের ১৬ মার্চ তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গায়িকা, অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা বর্ষা। পাত্রটিও ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ রাসেল মিয়া।
বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো গেলেও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গেল মাসে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন বর্ষা। পরে ফেসবুকে একটি লাইভে আত্মপক্ষ সমর্থণ করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ তিনি।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘বিয়ের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দিই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।’
এদিকে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ছেন রাসেল মিয়া। কিন্তু সেই মামলার রেশ এখনও রয়েই গেছে। জামিনে মুক্তি পেয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন পাপমুক্ত সিনেমার সেই অভিনেতা।
অন্যদিকে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে বর্ষা চৌধুরীরর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, Borsha আপু কথা বলতে পারছে নাহ, এক পাশ অবস! মুগদা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি, সব টেস্ট করা হচ্ছে ব্রেইন স্ট্রোক এর সম্ভাবনা আছে, সবাই দোয়া করবেন।
সবশেষ অবস্থা নিয়ে সেই ফেসবুক থেকেই আরও এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, আপুর আপডেট জানার জন্য সবাই কল দিচ্ছেন, আগের মতই কথা বলতে পারছে না, সাথে ডান হাতটা নাড়াতে পারছেন না। রাতে সিটিস্ক্যান করাতে পারিনি। ডক্টর আসবে ৭টায়, বোঝা যাবে কি হয়েছে। ৯০% ধারণা করছে ব্রেইন স্ট্রোক, মুগদা মেডিকেল থেকে রাতে বলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ নামে একটি সিনেমা। যেখানে নায়ক ও পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন রাসেল মিয়া। সেসময় রাসেলের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল সৃষ্টি হয়। মুক্তির পর এই নায়ক নিজ সিনেমাকে ‘পাপমুক্ত’ সিনেমা বলে ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাটি দেখলে অজু ভাঙবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাসেল মিয়া। গত ১৮ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বর্ষার সঙ্গে পরিচয় হয় রাসেল মিয়ার।
আরটিভি /এএ