• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মাদকাসক্তদের আচরণ বোঝার চেষ্টা করেছি’

  ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫১
সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন, ক্যারিয়ারের শুরু মডেলিং দিয়ে হলেও পরে হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে তৌকীর আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ দিয়ে ছবিতে নাম লেখান। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রেও তাকে দেখা যায়।

বর্তমানে চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি রায়হান রাফীর হাত ধরে ওটিটিতে পা রাখলেন এই অভিনেতা। ইমন অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। নতুন এই যাত্রায় তার সঙ্গী হয়েছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা। নতুন কাজ ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আরটিভির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন ইমন।

আরটিভি: সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মায়া’ দিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

ইমন: আলহামদুলিল্লাহ্‌, সবার কাছ থেকে বেশ পজেটিভ সাড়া পাচ্ছি। ইনবক্স ভরে গেছে প্রশংসায়। অনেকেই বলছেন যে সচেতনামূলক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, আবার অনেকেই বলছেন ওয়েব ফিল্মটি দেখে চোখে পানি চলে এসেছে।

আরটিভি: ওটিটিতে প্রথম কাজ করলেন, বড় পর্দার সঙ্গে এর কী পার্থক্য মনে হয়েছে?

ইমন: খুব বেশি পার্থক্য নেই। দুই জায়গায়ই অভিনয় করতে হয়। ওটিটিতে অভিনয়টা একটু বেশি ন্যাচারাল হতে হয়। অর্থাৎ স্বাভাবিক অভিনয়টা করতে হয় আরকি। মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে চলাফেরা করে, ঠিক সেভাবেই একদম ন্যাচারাল অভিনয় করতে হয়।

আরটিভি: ইমন থেকে ‘রাহাত’ হয়ে ওঠার গল্পটি জানতে চাই...

ইমন: ইমন থেকে ‘রাহাত’ হয়ে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। এমন চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আগে কোনো পরিচালক আমাকে দেননি। রায়হান রাফী আগের কাজগুলো যাদের সঙ্গে করেছেন, এই যেমন ‘সুড়ঙ্গ’তে আফরান নিশো, তাকে কিন্তু দর্শক আলাদা একটা জায়গায় রেখেছেন। শরিফুল রাজের সঙ্গেও করছেন, সেটাও অভিনয়নির্ভর দারুণ একটা গল্প। যত ওয়েব ফিল্ম রাফী বানিয়েছেন, বেশির ভাগই অভিনয়নির্ভর কাজ এবং গল্পগুলোও দুর্দান্ত। শেষে করেছে শাকিব খানকে নিয়ে ‘তুফান’। আর রাফী আমাকে নতুন করে উপস্থাপন করার জন্য শর্ত দেন চুল কেটে ফেলতে। আমি ওয়েব ফিল্মটির গল্প শুনে রাজি হয়ে যাই।

‘রাহাত’ চরিত্রে প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে ঢাকার একটি মাদকাসক্তি নিরায়ম কেন্দ্রে নিয়মিত’‌ যেতাম। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতাম। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আচার–আচরণ সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করতাম। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আচরণ বোঝার চেষ্টা করেছি। তারা সেখানে কী করেন, কেমন তাদের আচরণ। আবার যখন ড্রাগস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তখন অবস্থা কেমন হয়, তা-ও বোঝার চেষ্টা করেছি।

আরটিভি: সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড বাদ দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ড হলো। এতে দেশের সিনেমার কেমন উন্নতি হবে বলে আপনার মনে হয়?

ইমন: আমি জানি না, এতে বাংলা সিনেমার কতটুকু উন্নয়ন হবে। সেন্সর বোর্ড বা সেন্সর সার্টিফিকেশন খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়। দরকার হচ্ছে ভালো গল্পে ভালো সিনেমা বানানো। ভালো কাজ করাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভালো সিনেমাই বানালেন না, সার্টিফিকেশন দিয়ে কী হবে আর সেন্সর বোর্ড দিয়েইবা কী হবে। আমাদের আসলে ভালো সিনেমা দরকার।

আরটিভি: দেশে বিভিন্ন পর্যায় নানা সংস্কার চলছে। সেই জায়গা থেকে আপনি একজন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে কী সংস্কার চাচ্ছেন?

ইমন: সংস্কার হওয়া অবশ্যই ভালো। একজন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে আমি চাই চলচ্চিত্রেও সংস্কার হোক। ভালো ভালো কাজ হবে, সবাই মিলে কাজ করতে চাই।

আরটিভি: অভিনয়ের পাশাপাশি করপোরেট জবে কীভাবে সময় দিচ্ছেন?

ইমন: অভিনয়ের পাশাপাশি রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে আছি আমি। ভালোই লাগছে, বেশ উপভোগ করছি। তাছাড়া আমার অভিনয় পেশার সঙ্গে এই কাজেও কিছু মিল আছে, তাই সমস্যা হচ্ছে না।

আরটিভি: নতুন কাজ নিয়ে জানতে চাই...

ইমন: আগামী সপ্তাহে নতুন একটি ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। ময়নার চর নামের এই ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তাছাড়া দুটি ছবির শুটিংও শেষ করা আছে। ‘কানামাছি’ ও ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’ নামের ছবি দুটির ডাবিংও শেষ। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবির কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি নতুন বিজ্ঞাপনের শুটিং আছে সামনে। আর বেশ কিছু সিনেমার কথাও চলছে।

আরটিভি/এসএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বাধীনতার পর থেকে সব ধর্মের মানুষ বাড়াবাড়ির শিকার হয়েছে: জামায়াত আমির
আ.লীগের অস্তিত্ব বাংলার জনগণ আর কখনো মেনে নিবে না: মুহাম্মদ শাহজাহান 
ফ্যাসিবাদ বিদায় হলে আর ক্ষমতায় ফিরে আসে না: ডা. তাহের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দিতে আসবেন না, ভারতকে জামায়াত আমির