যে কারণে ‘বন্ধু’ বাবা সিদ্দিকের শেষবিদায়ে গেলেন না শাহরুখ
মুম্বাইয়ের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিককে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনিই। তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।
ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সালমান খান, সঞ্জয় দত্তসহ অনেকের সঙ্গে এই রাজনীতিবিদের সখ্যতা ছিল। ঘটনার রাতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেঠিসহ অনেকে। কেবল দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে।
বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে শাহরুখের বন্ধুত্ব কম ছিল না। হাসপাতালে যেমন যাননি, তেমনি শেষবিদায় জানাতে এ রাজনীতিবিদের বাড়িতেও যাননি শাহরুখ। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শেষবিদায় জানাতে কেন গেলেন না শাহরুখ?
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাউকে একটি সূত্র বলেন, ‘কোনো রাজনীতিবিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়াতে চান না শাহরুখ খান। এই মামলা সালমান খান ও কিং খানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এ কারণে দূরে থাকতে চান শাহরুখ। লরেন্স বিষ্ণোই কীভাবে কাজ করছে, তা দেখছেন শাহরুখ। তিনি চান না, তারও কোনো ক্ষতি হোক। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও এ কারণে বাবা সিদ্দিককে শেষবারের মতো দেখতে যাননি শাহরুখ।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিক। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাবা সিদ্দিক হত্যার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশও বলছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন এই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
আরটিভি /এএ/এসএ
মন্তব্য করুন