বিষ্ণোইয়ের কাছে সালমান কেন ক্ষমা চাইবে, প্রশ্ন সেলিম খানের
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকে কেন্দ্র করে টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইদের নিশানায় আছেন তিনি। যার ফলে বেশ কয়েকবার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত এপ্রিলে অভিনেতার বাড়ির সামনে এসে প্রকাশ্যে গুলি চালায় গ্যাং প্রধান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকেরা।
সম্প্রতি খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক। কারণ, তিনিসহ খুন হওয়া অন্যরা কোনো না কোনোভাবে সালমানের সংস্পর্শে এসেছিলেন। অর্থাৎ এ নায়ককে হত্যার আগে থামতে চায় না এ গ্যাং!
এদিকে ভারতীয় রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকির ওপর গুলি চলার পর থেকে বেশ ভয়ে ভয়ে আছে সালমান খানের পরিবার। এমনকি, সালমানের নিরাপত্তার জন্য বিগ বসের সেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ভাইজানকে বলতে শোনা গেছে, তার চিন্তায় শরীর খারাপ মা-বাবার।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে সালমানের বাবা সেলিম খান জানিয়েছেন, বিষ্ণোইদের কাছে তার ছেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, এ রকম কোনো অপরাধ সালমান করেনি।
সেলিম খান বলেন, ক্ষমা চাওয়া মানে তো অপরাধ স্বীকার করা। সালমান কখনো কোনো প্রাণীকে হত্যা করেনি। এমনকি আমরা কোনো আরশোলাও মারিনি। আমরা এসবে (প্রাণী হত্যায়) বিশ্বাস করি না।
সেলিম আরও বলেন, সালমানকে কার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে? আপনি কত মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, কত পশুর জীবন বাঁচিয়েছেন?
সেলিম খান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার ছেলে কোনো অপরাধই করেনি। তিনি বলেন, ও কি কোনো অপরাধ করেছে? আপনি কি তাকে দেখেছেন করতে? আপনি কি বিষয়টি তদন্ত করেছেন? এমনকি আমরা কোনোদিন কোনো বন্দুকও ব্যবহার করিনি। ও তো ওখানে ছিল না (যখন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করা হয়)। ও পশুদের ভালোবাসে।
সালমানকে ভয় দেখাতে বিষ্ণোইরা খুন করেছে বাবা সিদ্দিককে এ কথা মানতে মোটেও রাজি নন সেলি খান।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না এর মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে। এর সঙ্গে বাবা সিদ্দিকির কী সম্পর্ক? এ রকম যেকোনো গল্প আমরা বানাতে পারি। তুমি আমাকে সালাম দাওনি, আমি তোমাকে মেরে ফেলব?
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট তালিকায় রয়েছেন সালমান। ওই বছর ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান। আর এই বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে মাতৃরূপে পূজা করে। সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল ৫ বছর। কিন্তু তখন থেকেই সালমানকে খুন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন লরেন্স।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের প্রধান লরেন্স এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সালমানকে হত্যা করাই লক্ষ্য। আমাদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। কিন্তু সালমান যদি একটি কাজ করেন, তাহলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সেই সাক্ষাৎকারে লরেন্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কী করলে সালমানকে তারা ক্ষমা করবেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের, বিষ্ণোইদের একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরের নাম মুকাম (মুকাম মুক্তিধাম মন্দির)। এই মন্দিরে গিয়ে সালমান যদি ক্ষমা চান এবং বলেন, যা করেছেন, তা ভুল করে করেছেন। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এক কথায়, সালমানকে মুকাম মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
আরটিভি/এএ/এসএ
মন্তব্য করুন