‘রঙিলা কিতাব’
দর্শকমনে দাগ কেটেছে প্রদীপ-সুপ্তির ভালোবাসার গল্প
বরিশালের একটা মফস্বল শহরে প্রদীপ ও সুপ্তির সুখের সংসার। নতুন জীবন শুরু হওয়ার আগেই মিথ্যা অভিযোগে সবকিছু এলোমেলো হতে থাকে। প্রদীপের জীবনের অতীত তেড়ে নিয়ে বেড়ায় তাদের। গর্ভবতী সুপ্তিও ছুটতে থাকে তার প্রাণ প্রিয় স্বামীর সঙ্গে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে অনম বিশ্বাসের ‘রঙিলা কিতাব’। কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস ‘রঙিলা কিতাব’ এর ছায়া অবলম্বনে ৮ পর্বের এই সিরিজ নির্মিত হয়েছে; যা শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হইচইতে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর দর্শক মনে দাগ কেটেছে ওয়েব সিরিজটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা গ্রুপে ওয়েব সিরিজটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। প্রশংসায় ভাসছেন ‘রঙিলা কিতাব’এ অভিনয় করা প্রতিটি চরিত্রে।
‘রঙিলা কিতাব’ সিরিজটিতে প্রদীপ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজ নুর ইমরান ও সুপ্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি। দুজনই যেনো নিজেদের উজার করে দিয়েছেন চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য।
মা হওয়ার পর এটাই ছিল পরীমণির প্রথম কাজ। পাশাপাশি ‘রঙিলা কিতাব’ দিয়ে এই প্রথম ওয়েব জগতে নাম লিখালেন হালের এই জনপ্রিয় নায়িকা। আর প্রথম কাজ দিয়েই যেনো ছক্কা হাকালেন এই অভিনেত্রী। গর্ভবতী সুপ্তি চরিত্রে পরী মানিয়ে নিয়েছেন বেশ। বাস্তাব জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের প্রথম সিরিজে দাগ ফেলেছেন।
এদিকে সিরিজটি নিয়ে পরীমণি বলেছিলেন, এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে যখন আমার সঙ্গে কথা হয় তখন আসলে কোনো কাজ নিয়ে ভাবনার জায়গায় ছিলাম না আমি। কারণ আমার বাচ্চার বয়স তখন দেড় দুই মাস। এই সময় বাবুকে রেখে শুটিংয়ে যাব, এটা ভাবতেই পারিনি। কিন্তু সেই সময় থেকে এক বছর পরেও যে এই সুপ্তি চরিত্রটি আমার জন্য বরাদ্দ ছিল, এটা সত্যিই পরম সৌভাগ্য। আমার মনে হয় সুপ্তি চরিত্রটি আমি ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছি, বাকিটা আসলে দর্শকই ভালো বলতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজটি করার আগে স্বপ্ন ছিল ভালো গল্পের একটি কাজ দিয়ে ওয়েবে নাম লিখাব। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
শুধু পরীমণিই নন সিরিজজুড়ে মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের দারুণ পারফর্ম করেছেন। তিনিই মূলত সিরিজের টান ধরে রেখেছেন, আর সেটা আরও বাড়িয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। মনোজ প্রামাণিকও তার প্রতিভা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি ইরেশ জাকের ও শিমুল শর্মাও অল্প সময়ে অভিনয় করেও বেশ জমিয়ে রেখেছিলেন সিরিজটি।
আরটিভি /এএ/এআর
মন্তব্য করুন