বিদেশি যে মন্ত্রীর কাছ থেকে সাহস পেয়েছেন ফারুকী
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পড়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।
ফারুকীর উপদেষ্টা হওয়ার খবরটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শুভকামনা জানাচ্ছেন এই পরিচালককে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন নাট্যাভিনেতা, চলচ্চিত্রশিল্পী ও পরিচালকরাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এবার ফারুকী জানিয়েছেন, তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক মন্ত্রী, যিনি তার কর্মজীবন ও দেশের সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা দেখে তাকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক বিনোদন বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটিকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই নির্মাতা।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে অনুপ্রাণিত করেছে কোরীয় নির্মাতা লি চ্যাং-ডং। ‘গ্রিন ফিশ’, ‘ওয়েসিস’, ‘সিক্রেট সানশাইন’ ছবিগুলোর এই নির্মাতা ২০০৩-২০০৪ সালে কোরিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ফারুকী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার অন্যতম প্রিয় নির্মাতা লি চ্যাং-ডংয়ের কাছ থেকে সাহস পেয়েছি। মনে হয়েছে, ঠিক আছে। তিনি যদি সেখান থেকে ফিরে নিজের স্বাধীন চিন্তা অব্যাহত রাখতে পারেন, হয়তো আমিও পারব।
ফারুকী বলেন, প্রফেসর ইউনূসের কলিগ হওয়া খুবই লোভনীয় বিষয়, না বলাটাই মুশকিল। আমি আশা করি, যে কদিন কাজ করবো, কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারবো। পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, তা সফল হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন। পরে আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন।
আরটিভি /এএ/এসএ
মন্তব্য করুন