ঢাকাসোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

‘খুব অবাক লেগেছিল, কীভাবে পারে সন্তান হয়ে এমন কাজ করতে’

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ , ০৪:৪৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে  গত ১০ নভেম্বর খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র‌্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। তবে এবার নতুন মোড় নিয়েছে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি। 

বিজ্ঞাপন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নিহত গৃহবধূর ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মাবিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার মাস আগে উম্মে সালমার (৫০) বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেলে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। ভাড়ার পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হন মাবিয়া। এর জেরে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রেখে বেরিয়ে যান তারা।

এদিকে  উম্মে সালমাকে হত্যার ঘটনায় নতুন মোড় নেয়ায় অনেকেই এবার নিহতের ছেলের পক্ষে কথা বলছেন। তাদের ভাষ্য তদন্ত না করেই কেনো মা হত্যার দায় একজন ছেলেকে দিয়ে দিতে হলো। শেঈ কাতারে আছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারজানা আহসান মিহি।

বিজ্ঞাপন

মিহি শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তার ফেসবুকে নিহত  উম্মে সালমার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর এর একটি ছবি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন, আমরা একপক্ষীয় বিচারক। খুব অবাক লেগেছিল, কীভাবে সন্তান হয়ে পারে এমন কাজ করতে। সব শেয়ার দিলেও এটা শেয়ার দিইনি বলে নিজেকে বিবেকবান মনে হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

মিহির সেই পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। মোহাম্মদ রাজু মিয়া নামে একজন লিখেছেন, আমি কখনোই বিশ্বাস করি নাই যে একজন ছেলে একজন মা কে এইভাবে মারতে পারে।

আরটিভি / এএ 


 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |