শেষ সময় বাবার পাশে থাকতে পারলাম না: রাইমা
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ওপার বাংলার দুই অভিনেত্রী রাইমা ও রিয়া সেনের বাবা ভরত দেব বর্মা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দক্ষিণ কলকাতার নিজবাড়িতেই মারা যান তিনি।
রাইমা-রিয়ার মা মুনমুন সেন একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, তারা বিখ্যাত অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি। তবে শেষ সময় বাবার পাশে থাকতে পারেননি রাইমা ও তার মা মুনমুন।
মৃত্যুর সময় বাবার পাশে ছিলেন ছোট মেয়ে রিয়া। মৃত্যুর খবর পেয়ে কলকাতায় ফেরেন রাইমা ও তার মা। সেখানে পৌঁছে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেন তারা।
অভিনেত্রী মুনমুন বলেন, খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। সবাইকে আগলে রাখতেন। আমাদের জীবনটাই বদলে যাবে।
এদিকে বাবার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বড় মেয়ে রাইমা সেন। অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, শেষ সময় বাবার পাশে থাকতে পারলাম না। বাবাকে খুব মিস করব।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে রাইমা বলেছিলেন, কলকাতায় বাড়িতে মা–বাবার সঙ্গেই বরাবর থাকি। তাই বেশি রাত করে বাড়ি ফেরার আগে দুবার ভাবি। তাছাড়া আমার বিয়ে নিয়েও চিন্তিত ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন আমি সংসারী হই।
যদিও পরে তিনিই আবার বলেছিলেন, তোমার বাড়ি আছে, সচ্ছল অবস্থা, অভিনয়জগতেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছো, আর কী চাই। বিয়ে করতেই হবে— এমন কোনো মানে নেই।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শরীরে অস্বস্তিবোধ করেন ভরত দেব। দ্রুত ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে খবরটি জানালে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুনমুন-ভরত দেব।
ভরতের মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী। ১৯৪১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ইলা দেবী ও ত্রিপুরার মহারাজা রমেন্দ্র কিশোর দেব বর্মার ছেলে ভরত দেবের।
আরটিভি/এইচএসকে/এস
মন্তব্য করুন