মোহিনীর মোহেই কি বিচ্ছেদ এ আর রহমান-সায়রার
ভারতীয় সুরকার-গায়ক এ আর রহমানের সংসার ভাঙনের খবরে সরগরম নিউজ মিডিয়া থেকে নেটদুনিয়া। দীর্ঘ ২৯ বছর সংসার করার পর স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
অন্যদিকে রহমানের বিচ্ছেদের পরই সংসার ভাঙল তার টিমের নারী গিটারিস্ট মোহিনীরও। গায়কের বিচ্ছেদের খবরের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীত পরিচালক স্বামী মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে যৌথ পোস্টে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তিনিও। আর সেখান থেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে শুরু করেন অনেকেই।
তবে কি মোহিনীর মোহেই স্ত্রী সায়রা বানুকে ডিভোর্স দিলেন রহমান? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? এমন নানান প্রশ্ন রহস্যের জাল বুনেছে গায়কের ভক্তদের মনে। নেটিজেনদের ধারণা মোহিনীর কারণেই নাকি সংসার ভেঙেছেন রহমান।
এদিকে তাদের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে সায়রা বানু আইনজীবী বন্দনা শাহ বলেন, বিয়ের বহু বছর পর একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে পারছিলেন না রহমান-সায়রা। সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন এই দম্পতি। মূলত, মানসিক চাপের কারণেই বিচ্ছেদের এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) লেখেন, আমরা একসঙ্গে বিবাহিত জীবনের ৩০ বছরে পা দেব, এমনটাই আশা করেছিলাম। আসলে আমরা কেউই সম্পর্কটা ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। এখন যদি আমরা এই ছিন্নভিন্ন সম্পর্কের মানে খুঁজতে যাই, তাহলে হয়তো শুধুই টুকরোগুলোকে খুঁজে পাব।
তিনি আরও লেখেন, জানি না এই ভগ্ন হৃদয় আর কখনও জুড়বে কি না। তবুও এ যন্ত্রণার মধ্যেও আমরা জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করব। আমি অনুরাগী থেকে শুরু করে বন্ধু সবাইকেই বলছি, আমরা এখন যে এই ছিন্নবিচ্ছিন্ন সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সেটাকে সবাই সম্মান করবেন।
ডিভোর্স নিয়ে সায়রা বানু জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই কঠিন সময় সকলের কাছে গোপনীয়তা রক্ষার এবং তাদেরকে একান্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন সায়রা বানু।
এ ছাড়া শোনা যাচ্ছে, রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিপুল অঙ্কের খোরপোশ পাবেন সায়রা। তবে সেসব কথা উড়িয়ে দিয়ে আইনজীবী বলেন, রহমান-সায়রার বিয়ে ভাঙলেও অটুট থাকবে তাদের বন্ধুত্ব।
কয়েক দিন পর পরই তারকাদের সংসার ভাঙার খবরে সরগরম থাকে নিউজ মিডিয়া। তারকাদের ডিভোর্স নতুন কিছু নয়। পান থেকে চুন খসলেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। বিচ্ছেদই যেন তাদের সব সমস্যার সমাধান। এ ক্ষেত্রে রহমান-সায়রার ডিভোর্স যেন আরও একটি প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এ আর রহমান। প্রায় তিন দশকের দাম্পত্যজীবনে তাদের সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
আরটিভি/এইচএসকে
মন্তব্য করুন