অবশেষে সেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সালমান
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকে কেন্দ্র করে টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইদের নিশানায় আছেন তিনি। যার ফলে বেশ কয়েকবার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত এপ্রিলে অভিনেতার বাড়ির সামনে এসে প্রকাশ্যে গুলি চালায় গ্যাং প্রধান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকেরা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপত্তা ছাড়া জানলা দিয়েও মুখ বের করতে পারেন না তিনি।
এদিকে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোয় নব্বই দশকে থানায় যেতে হয়েছিল ভাইজানকে। থানার ভেতরের একটি ভিডিও বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী রজত দালালকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেন সালমান।
তিনি বলেন, আমার আগের ক্লিপিং দেখেছেন হয়তো। মনে হতে পারে সালমান পুলিশ স্টেশনে বসে আছে মেজাজ নিয়ে। কিন্তু আমি তো এতে জড়িতই ছিলাম না, তাহলে ভয় পাব কেন? তবে কোনো পদস্থ কর্তাব্যক্তি যখন আসেন, তখন উঠে দাঁড়ানো, তাকে সম্মান জানানো, ওই পদকের সম্মান জানানো দরকার ছিল।
এরপর বলেন, তাই যখনই আমি আমার ওভাবে বসে থাকার ক্লিপিংটা দেখতে পাই নিজেরই ভালো লাগে না। ভাবি, অল্প বয়সে এ আমি কী করেছিলাম। আমার একটা হাঁটা-চলার ধরন রয়েছে তা তো বদলাতে পারব না। তাতে মনে হয় বদমেজাজি, অহংকার আছে। তা নেই। আপনার সামনে আপনার থেকেও জোরে কথা বলতে পারি আমি। কিন্তু তা তো আমি করি না! এটা আমার চয়েজ।
এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সালমান বলেছিলেন, এর নেপথ্যে একটা লম্বা গল্প রয়েছে। ওই কৃষ্ণসার হরিণের দিকে কিন্তু গুলিটা আমি ছুঁড়িনি।
এমন উত্তরে তাজ্জব বনে যান প্রশ্নকর্তা। যে হরিণ নিয়ে এতকিছু সে হরিণকে আঘাত করেনি ভাইজানের গুলি! তবে কে মেরেছে হরিণ জোড়া। সালমানই বা সামনে আনছেন না কেন অপরাধীকে? পর্দার টাইগার অবলীলায় বলেন, কোনো লাভ নেই।
প্রসঙ্গত, সালমান ও বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের শত্রুতা এই হরিণ নিয়ে। তার ওপর এ সম্প্রদায়ের অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন ভাইজান।
আরটিভি/এএ-টি
মন্তব্য করুন