অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিনেতা গ্রেপ্তার
ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলায় জনপ্রিয় মালায়ালাম অভিনেতা সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। অভিযোগকারীর দাবি, ২০১৬ সালে তাকে হেনস্তা করেছিলেন সিদ্দিকী। মাস কয়েক আগেই যৌন হেনস্তার ঘটনা নিয়ে অনেকে মুখ খুলেছিলেন। সে সময়ই সিদ্দিকীর নামে অভিযোগ করা হয়।
তবে কেরালা পুলিশের কাছে চিঠি লিখে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সিদ্দিকী। চিঠিতে অভিনেতা লিখেছিলেন, ‘সুখমৈরিকাট্টে’ ছবি মুক্তির আগে প্রদর্শনের সময় একদিনই অভিযোগকারী অভিনেত্রীকে দেখেছিলাম আমি। সময়টা ২০১৬ সালের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি। নিজের মা-বাবার সামনেই সেদিন তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। প্রথমত, সেদিন কোনো ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। সাড়ে ৮ বছর পর তিনি এ অভিযোগ এনেছেন। শারীরিক যৌন হেনস্তা বা মৌখিকভাবে যৌন হেনস্তার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
এদিকে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি মতো ঘটনা আটকাতে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘হেমা কমিশন’ গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের নাম। সেই কমিশনের রিপোর্টেও উল্লেখ ছিল সিদ্দিকীর বিষয়ে।
প্রসঙ্গত, হেমা কমিটির ২৩৫ পাতার রিপোর্টে পরিষ্কার দাবি করা হয়েছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করেন ১০ থেকে ১৫ জন পুরুষ প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা।
২০১৭ সালে এই কমিটি গঠিত হয়। ২০১৯ সালে জমা পড়ে রিপোর্ট। কিন্তু আইনি বাধা থাকায় এতদিন তা প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয়নি। এবার রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই শোরগোল পড়ে গেছে। যৌন হয়রানির পাশাপাশি পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে বৈষম্য কিংবা মাদক-অ্যালকোহলের অপরিমিত অপব্যবহারের মতো নানা প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে সেখানে।
বলা হয়েছে, কোনো অভিনেত্রী ছবিতে কাজ শুরুর আগেই যৌন নির্যাতনের শিকার হন। যার মধ্যে ‘কাস্টিং কাউচ’ অবশ্যই রয়েছে। এই অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও, অডিও ক্লিপ এমন কী হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশটও কমিটির হাতে রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
আরটিভি/এএ/এস
মন্তব্য করুন