কনসার্টে বাংলা গান নিয়ে দর্শকের আপত্তি, কড়া জবাব দিলেন ইমন
ওপার বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। লোকগানের পাশাপাশি আধুনিক হোক কিংবা রবীন্দ্রসংগীত, সব ধরনের গানেই পারদর্শী তিনি। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। ওপার বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় এসে পারফর্ম করে গেছেন এই গায়িকা।
এদিকে, সম্প্রতি একটি কনসার্টে ইমনকে বাংলা গান না গাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন এক শ্রোতা। সেটির জবাব তিনি কড়া ভাষায় দিয়েছিলেন। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে রাজারহাটের একটি কনসার্টে। সেখানেও গায়িকাকে অনুরোধ করা হয় বাংলা গান না গাওয়ার। এখানেও শ্রোতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় এই গায়িকা বলেন, বাংলায় থাকতে হলে বাংলা গান শুনতে হবে।
এদিন ইমন চক্রবর্তীর পারফরম্যান্সের সময় দর্শকদের মধ্য থেকে কেউ তাকে বাংলা গান না গাওয়ার অনুরোধ করেন। এর জবাবে গায়িকা বলেন, জোরের সঙ্গে বলছি- আমি বাংলা গান শুনব না, এটা অন্য কোনো জায়গা হলে চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দিত। বাংলায় থাকছ। বাংলায় রোজগার করছ। বাংলা গান শুনবে না বলছ? ফালতু জিনিস করবে না। এই রাজ্যের নাম বাংলা। পাঞ্জাবি গান শোনো, মারাঠি গান শোনো, ইংরেজি গান শোনো বাড়িতে। কিন্তু তোমার সাহস হলো কী করে, আমায় বাংলা গান গাইতে না বলতে? সাহস কে দিল? এই ভণ্ডামিগুলো করো না। সাহস থাকলে স্টেজে এসো। বাংলায় থাকছ, বাংলায় চাকরি করছ, বাংলায় রোজগার করছ এদিকে বাংলা গান শুনবে না বলছ!
এর আগেও একবার একটা শোতে ইমনকে একই অনুরোধ করা হয়। তখন গায়িকা বলেছিলেন, বাংলা গান যদি না শোনো, তাহলে পাতলি গলি সে নিকলো।
সেদিনের কথা প্রসঙ্গে পরে এই গায়িকা বলেন, বন্ধু আমার রসিয়া হয়ে যাওয়ার পর প্রায় শেষে বা শেষ আগের আগে এমন কিছু একটা হবে, আমি ঠিক করি একটা রবীন্দ্রসংগীত শোনাব। আমার এখনো মনে আছে মঞ্চের ঠিক ডান দিকে দাঁড়িয়ে একটা ছেলে, বাচ্চা ছেলে কত বয়স হবে? এই ১৭ বা ১৮! বলেছিল, ‘‘দিদি রবীন্দ্র সংগীত শুনব না।
ইমন আরও বলেন, আর এইটা যেই বলেছে আর আমার কানে এসেছে। আর আমি সঙ্গে সঙ্গেই ওইটা বলে ফেলেছি। আমার এই কথাটা বলার জন্য কোনো দুঃখ নেই। এটার জন্য আমাকে কাউকে কোনো কৈফিয়ত দেওয়ার দরকার নেই যে আমি ঠিক বলেছি নাকি ভুল বলেছি। যে যার মতো করে ধরে নেবে। বাংলায় থেকে আমি যদি রবীন্দ্রনাথের গান শোনাতেই না পারলাম, একটা মঞ্চে উঠে তাহলে আমি কেন গান গাই?
আরটিভি /এএ
মন্তব্য করুন