‘পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে আহত শিশুটি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু’র প্রিমিয়ারে ভক্তদের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার ছেলে। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তার ৮ বছরের ছেলেকে।
এবার জানা গেল, রেবতির ছেলের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। বর্তমানে হায়দরাবাদের কেআইএমএস কাডলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদদলিত হওয়ায় তার নিউরোলজিক্যাল অবস্থার উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে জ্বর কমেছে।
হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। মূলত, পদদলিত হয়ে শিশুটির মায়ের মৃত্যুর মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে সিভি আনন্দ বলেন— শিশুটির ব্রেইন ডেড।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ‘পুষ্পা টু’সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আল্লু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় জমান সিনেমা হলের প্রধান ফটকে। ফলে অনেক মানুষ পদদলিত হন। এ ঘটনায় মারা যান রেবতি।
এ ঘটনায় হায়দরাবাদের চিকড়পল্লী থানায় আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী এবং সন্ধ্যা সিনেমা হলের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করে রেবতির পরিবার।
প্রয়াতের পরিবারের অভিযোগ, আল্লু অর্জুনের আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
এ দিকে রেবতির মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছিলেন আল্লু অর্জুন। পাশাপাশি শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। শুধু তিনিই নন, রাশমিকা মান্দানাও রেবতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন। রেবতির পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণাও দেন আল্লু অর্জুন। অন্যদিকে রেবতির মৃত্যুর ৯ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন আল্লু অর্জুন। একদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন তিনি।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
মন্তব্য করুন